নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘খাদান’ ছবির প্রচারে অবশেষে কলকাতায় পাওয়া গেল অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে। যদিও এই অভিনেতা জানালেন, তিনি এখন বেশিরভাগ সময় কলকাতাতেই থাকেন তবে অনেকেই তা জানেন না। তবে এই মুহূর্তে ‘খাদান’ নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী এবং বলাই বাহুল্য এই ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
কেন ‘খাদান’ নিয়ে এত আশাবাদী যীশু? ‘টিম খাদান’-এর মতে, বহুদিন পর বাঙালি দর্শক মূলধারার বাণিজ্যিক ঘরানার একটি ‘মাস এন্টারটেইনিং’ ছবি দেখতে চলেছেন বড় পর্দায়। যীশু সেনগুপ্তের কথায়, “যে ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের মূলধারার ছবি হয় না, সেই ইন্ডাস্ট্রি দিনে-দিনে আরও ছোট হতে থাকে, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি আগেও। তাই বহুদিন পরে এমন একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আমিও রয়েছি। গল্প সব ছবিরই কমবেশি প্রায় একই থাকে, তবে কীভাবে সেই গল্পকে বলা ও পেশ করা হচ্ছে সেটা জরুরি। এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ‘খাদান’ এর মতো ছবি দর্শক আগে দেখেননি। দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা নিয়েই বলছি, এই ছবিতে যে ধরনের কাজ হয়েছে, সব মিলিয়ে সেই ইন্ডাস্ট্রির ছবির তুলনায় এগিয়ে রাখব 'খাদান'কে।”
“এটুকু বলতে পারি, দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে চলেছে দর্শকের। জমজমাট মশলা ছবি দেখতে পাবেন দর্শক।” অভিনেতার পাশাপাশি যীশু সেনগুপ্ত একজন প্রযোজকও বটে। তা প্রযোজক দেবকে নিয়ে কি বললেন তিনি? যীশুর কথায়, “দেব, রানে প্রত্যেকেই দারুণ মানুষ। আমি আমার কেরিয়ারে খারাপ প্রযোজক পাইনি তেমনভাবে। ১৩০টির বেশি ছবি করে ফেলেছি। তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটা ছবির হয়তো টাকা পায়নি বা যা চেয়েছি তা দেওয়া হয়নি। আমরা সবাই টাকা উপার্জন করতেই আসি, কিন্তু ভাল কাজ করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ভাল মানুষ হওয়া। দেব তেমন একজন মানুষ, আমার ভাইয়ের মত।”
আগামী ২০ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘খাদান’। ছবিতে ‘মোহনদাস’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত। কয়লাখনি অঞ্চলের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ‘শ্যাম মাহাতো’ এবং ‘মোহন দাস’-এর বন্ধুত্ব ঘিরেই আবর্তিত হবে এই ছবির গল্প। তবে ছবিতে নিজের সেই চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ যীশু
