ধন্যধান্য অডিটোরিয়ামে টেলি অ্যাকাডেমি সম্মান ২০২৫-এ অভিনেতাদের ভিড়ে দেখা মিলেছিল চন্দন সেনেরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে টেলি সম্মান পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সেরা শ্বশুর হিসাবে অ্যাওয়ার্ড-সহ পেয়েছেন এক লক্ষ টাকার সাম্মানিক।

 


আরও একবার সরকারি সাম্মানিক দান করেছেন পর্দা এবং মঞ্চের সফল অভিনেতা চন্দন সেন। টেলি অ্যাকাডেমি সম্মান ২০২৫-এর অর্থ দান করেছেন যথাক্রমে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধক পরিষেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান, আরও একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদমঞ্চে।

 

 

এই বিষয়ে এবার সমাজমাধ্যমে কলম ধরেছেন পরিচালক, অভিনেতা সৌরভ পালোধি। বরাবরই সৌরভের লেখা চাঁচাছোলা। তিনি লেখেন, 'মমতার হাত থেকে টেলি একাডেমীর টাকা পেলেন অভিনতা চন্দন সেন। কী করলেন সেই টাকা? বিপুলদার লেখা, এই টাকা নিয়ে চন্দনদা মদের আসর বসিয়ে সেলিব্রিটি আর মিডিয়া ডাকলে, সেই খবর ছয়লাপ হয়ে যেত। কিন্তু চন্দন দা যেটা করেছেন সেটা আগামী প্রজন্ম জানলে তারা ভাল মানুষ হতে পরবে।'

 

 

সৌরভ লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার গতকাল আমাদের বন্ধু ও কমরেড চন্দন সেনকে টেলি আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চন্দন তা গ্রহণ করেছে। চন্দনের মতো অবিশ্বাস্য শক্তিশালী অভিনেতার এর চেয়েও বেশি স্বীকৃতি  প্রাপ্য বলে আমি মনে করি, কিন্তু সেটা তো নিজেদের লোকের মত কথা শোনালো। যেটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার  জন্যে এই পোস্ট দেওয়া তা হলো আজ সন্ধের একটি ফোনালাপ। ফোনটা আমিই করেছিলাম। একটু কৌতুক করেই জানতে চাইলাম, এক লক্ষ টাকা যে পুরস্কার পেলে করবে কী?'

 

 

তিনি আরও লেখেন, 'যারা জানেন তাঁরা বুঝবেন এই কথাটা বলার মধ্যে একটা কৌতূহলও ছিল।  এর আগেরবার সরকার ওকে যে পুরস্কার দিয়েছিলো সেটার পুরো অর্থ  ও চাবাগানের  শ্রমিকদের হাতে তুলে দেয়। কাল থেকেই ভাবছিলাম এবার কী করবে। তাই শুরুতেই ওই প্রশ্ন।  সোজা জবাব না দিয়ে শুধু বললো হোয়াটস্যাপ দেখ। বলে ফোন ছেড়ে দিল।  পর মুহূর্তেই পৌঁছলো চারটে ছবি। প্রত্যেকটিতে  ২৫  হাজার  টাকা করে দিয়ে দিয়েছে অনলাইনে। প্রথম তিনটের নাম দিলাম না , কারওর সুনজরে পড়ে গেলে মুশকিল আছে। প্রথমটি একটি ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্যে এনজিও ,  দ্বিতীয়টি একটি সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধক পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান। তৃতীয়টি একটি সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠান। আর চতুর্থটি অভয়া মঞ্চ। সাধে বলি না , আমাদের কমরেড আমাদের গর্ব। অভিনন্দন কমরেড চন্দন সেন।'