শ্যামশ্রী সাহা
এবার পুজোতেও পঙ্কজ সিংহর চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায়ের বুদ্ধিদীপ্ত অ্যাকশনের সাক্ষী হতে চলেছে দর্শক। গতবারের মতো এবারেও বক্সঅফিসে ঝড় তুলবে উইন্ডোজ প্রোডাকশান হাউজের ‘রক্তবীজ-২’, এমনটাই প্রত্যাশা। তবে শুধুই কি অ্যাকশন নজর কাড়বে এই ছবির, নাকি এবার গভীর হতে চলেছে পঙ্কজ-সংযুক্তার রসায়ন? নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে পরপর সাফল্যের রহস্যটা কী? বললেন পর্দার পঙ্কজ সিংহ, আবির চট্টোপাধ্যায়।
উইন্ডোজ-এর সঙ্গে আট বছরের গাঁটছড়া, ‘রক্তবীজ-২’ তে কি আরও পোক্ত হল?
আবিরঃ আমাদের বোঝাপড়াটা খুব ভাল, তাই পরপর কাজ করতে পারছি, আর আনন্দের খবর হল প্রতিটা কাজই প্রশংসিত। প্রত্যাশা বেড়েছে। নন্দিতাদি-শিবুদার সঙ্গে আরও ভাল কাজ করতে চাই।
‘রক্তবীজ-২’ এ পঙ্কজ সিংহ আকর্ষণ আরও বাড়বে নিশ্চয়ই?
আবিরঃ একই চরিত্র। ঘটনাও চেনা। ‘রক্তবীজ-১’ ২০১৪-১৫ সত্যি ঘটনা। ‘রক্তবীজ-২’ তার মাসখানেক পরের ঘটনা। একটা চরিত্র ফ্রাঞ্চাইজি বা সিক্যুয়েলে আরও ডালপালা মেলে। পঙ্কজ সিংহ বলতে যে ছবিটা ফুটে ওঠে ‘রক্তবীজ-২’ তে সেটা আরও প্রতিষ্ঠিত হবে।
সুমন্ত ঘোষাল না পঙ্কজ সিংহ কোন চরিত্র বেশি চ্যালেঞ্জিং?
আবিরঃ সুমন্ত ঘোষাল হারটা স্বীকার করেছিল। চরিত্রটা এখানেই ইউনিক। সেটা মোটেও আনন্দের ছিল না সুমন্তর কাছে। সুমন্ত হারতে তো চায়নি। তাই রাগ, বিরক্তি, অপমান ছিল। একমাত্র, সন্তানের কাছে হার সুখের হতে পারে, এছাড়া কেউ কোনওদিন হারতে চায় না। সুমন্তর চরিত্র অনেক বেশি মানবিক, মানুষের কাছাকাছি। আর পঙ্কজ সিংহ তো হিরো। নায়কোচিত। ‘রক্তবীজ’-এ দেখেছি পঙ্কজ মারাত্মক কুশলী। তার ক্ষিপ্র বুদ্ধি। খুব তৎপর। তাই সে রাষ্ট্রপতির সুরক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিল। তারও একটা মানবিক দিক আছে, অতীত আছে, সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসাটাও বেশ কঠিন।‘রক্তবীজ-২’ তেও দেখব পঙ্কজ কতটা নিষ্টাবান, দায়িত্ববান। জীবনের ঝুঁকি নিতে সে ভয় পায় না। অথচ মাথা বরফ ঠান্ডা।
এবার কি সংযুক্তার সঙ্গে পঙ্কজের প্রেম জমবে?
আবিরঃ সেরকম দিকেই তো ইঙ্গিত। আচ্ছা দর্শকও কি তাই চাইছে? আমিও সেটা জানতে চাই।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, পরিচালক হিসাবে আপনার কাছে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়?
আবিরঃ পরিকল্পনার দিক থেকে আমার কাছে ওঁরাই সেরা। কী কাজ করতে চলেছেন, কীভাবে করবেন তাই নিয়ে ওঁদের ধারণাটা পরিষ্কার। এক ধারার ছবিতে ওঁরা সফল ছিলেন, সেখান থেকে অন্য ঘরানার ছবি করলেন, সেখানেও সফল। এই সাফল্য ওঁদের ভাল কাজ করার খিদে বাড়িয়ে দিয়েছে। অহঙ্কারী করেনি। নন্দিতাদি-শিবুদা পরিচালক-প্রযোজক হিসাবে একের পর এক ছবিতে সফল, অথচ ওঁদের কোনও বাড়ফট্টাই নেই। এটা শিক্ষনীয়।
