আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল যুগে, আধার কার্ড প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। সব গুরুত্বপূর্ণ কাজেই আধার বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রায়শই মানুষ আধার এবং ই-আধার নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। এই দু'টোই কি একই জিনিস, নাকি ভিন্ন? উভয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা কী? আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আধার এবং ই-আধার:

আধার কার্ড হল একটি ১২ সংখ্যার ইউনিক আইডি, যা ভারত সরকার যেকোনও ব্যক্তির বায়োমেট্রিক এবং জনসংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্যের ভিত্তিতে জারি করে। একবার আধার নম্বর পেয়ে গেলে, কার্ডটিও আপনি বাড়িতেই পেয়ে যাবেন। যদি আমরা ই-আধার সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে এটি আধার কার্ডের একটি ডিজিটাল সংস্করণ যা UIDAI ওয়েবসাইট বা mAadhaar অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করা যেতে পারে।

এটি এক ধরণের পিডিএফ যা আপনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে যেকোনও জায়গায় রাখতে পারেন। এটি আধার কার্ডের মতোই বৈধ। আপনি সহজেই এটি সরকারি এবং বেসরকারি উভয় কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কেউ আপনার কাছে আধার কার্ড চাইতে পারবে না। ই-আধার কার্ড ডাউনলোড করতে, আপনাকে https://myaadhaar.uidai.gov.in/genricDownloadAadhaar/en -এ যেতে হবে, তারপর এখান থেকে আপনি আধার নম্বরে ক্লিক করে তা ডাউনলোড করতে পারবেন।

সুবিধা এবং অসুবিধা:

আধার কার্ডের সুবিধা: সবকিছুরই নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। যদি আমরা আধার কার্ডের সুবিধার কথা বলি, তাহলে এটি সহজেই ব্যাঙ্ক, সরকারি স্কিম, সিম কার্ড ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সবাই সহজেই এবং দ্রুত আধার কার্ড গ্রহণ করে। আপনার কারও সঙ্গে তর্ক করার দরকার নেই।

আধার কার্ডের অসুবিধা: আধার কার্ড চুরি এবং হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। একবার এটি হারিয়ে গেলে, আপনাকে একটি নতুন আধার কার্ড পেতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। 

ই-আধার কার্ডের সুবিধা: যদি আমরা ই-আধার কার্ডের সুবিধার কথা বলি, তাহলে এটি আপনি যখনই চান ডাউনলোড করা যেতে পারে। আপনি এটি যে কোনও জায়গায় পাঠাতে এবং সহজেই প্রিন্ট করতে পারেন। আপনাকে চিন্তা করতে হবে না যে এটি কোথাও হারিয়ে যাবে, কারণ এটি আপনার ফোনে নিরাপদ।

ই-আধার কার্ডের অসুবিধা: ডিজিটাল আধার কার্ডের অসুবিধা হল যে, আপনাকে সর্বদা পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে, তবেই এটি কাজ করবে। এছাড়াও, প্রযুক্তি সম্পর্কে কম জ্ঞান থাকা লোকেদের জন্য এটি ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন।