আজকাল ওয়েবডেস্ক: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মার্কেটে তছরুপ এবং অ্যাকাউন্টে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। সেই অভিযোগই খারিজ করে দিল ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।

মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছিল যে, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থারগুলি স্টকের দামে কারসাজি করেছিল এবং 'আদানি পাওয়ার'কে সহায়তায় অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করেছে।

হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করেছিল যে, আদানি গোষ্ঠীর চারটি সংস্থা ২০২০ সালে ৬.২ বিলিয়ন টাকা (৮৭.৪ মিলিয়ন ডলার) ঋণ দিয়েছে, তবে তা আর্থিক বিবৃতিতে সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। আরও দাবি করা হয়েছিল যে, অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেস তখন আদানি পাওয়ারকে ৬.১ বিলিয়ন টাকা (৮৬ মিলিয়ন ডলার) ঋণ দিয়েছে, যদিও সেখানে নিরাপত্তার কোনও ভিত্তি ছিল না।  

এই অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল আদানি এন্টারপ্রাইজ়, আদানি পোর্টস এবং আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। 

আইনের কোনও লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সেবি হিন্ডেরবার্গের অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেছে। সমস্ত বিবরণ পরীক্ষা করার পর, ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, আদানি গোষ্ঠীর লেনদেনগুলি বৈধ ছিল এবং তালিকাভুক্তও চুক্তি বা LODR প্রবিধান লঙ্ঘন করেনি, কারণ এগুলি "সম্পর্কিত পক্ষের লেনদেন" হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করে না। 

আদেশে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড, আদানি পাওয়ার লিমিটেড, অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেড, গৌতম শান্তিলাল আদানি এবং রাজেশ শান্তিলাল আদানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবি এখন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে মামলাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেবির পদক্ষেপ আদানি গোষ্ঠীকে, হিন্ডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল এবং বিনিয়োগকারী এবং বাজারকে আশ্বস্ত করে সংস্থাগুলির স্বচ্ছ্বতাকে প্রকাশ করল। 

প্রথম থেকেই হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ খারিজ করে এসেছিল আদানি গোষ্ঠী। সেবির ক্লিনটিটের পর পরই এক্স-পোস্টে গৌতম আদানি লেখেন, "আমরা যা বলেছিলান, একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর সেবি ফের নিশ্চিত করেছে। সেবি জানিয়েছে যে, হিন্ডেনবার্গের দাবি ভিত্তিহীন ছিল। স্বচ্ছতা এবং সততা সর্বদা আদানি গ্রুপের পুঁজি। ওই প্রতারণামূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের কারণে অর্থ হারিয়েছেন এমন বিনিয়োগকারীদের সমবেদনা জানাই, সেই ব্যথা আমরা গভীরভাবে অনুভব করি। যারা মিথ্যা প্রচার ছড়িয়েছেন, তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।" 

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 18, 2025

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নেট অ্যান্ডারসন গত জানুয়ারিতেই তাঁর সংস্থা বন্ধ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-  কীভাবে ইপিএস থেকে মাসে ৭৫০০ টাকা করে পেনশন পাবেন, রইল বিস্তারিত সূত্র