আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় নৃশংস ঘটনা। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল ছেলে। ৬৫ বছরের মা সেই কাজে বাধা দিতে গেলে তাঁকেই শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। আনুমানিক রাত দশটা নাগাদ মির্জাপুরের বাঘেরা কালান গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম রামসুরত বিন্দ। খবর অনুযায়ী সেদিন রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণে চরম বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর অভিযুক্ত স্ত্রী সুনীতা দেবীকে মারধর শুরু করে। শুধু তাই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে আটকাতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও চরম খারাপ ব্যবহার করতে থাকে রামসুরত।
জানা গিয়েছে ঠিক সেই সময়ে রামসুরতের মা চামেলিয়া দেবী (৬৫) তাঁর ছেলের এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরেই রামসুরত তাঁর মাকে মারতে শুরু করে। এরপর সে তাঁর শ্বাসরোধ করে দেয়। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান বৃদ্ধা। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত চামেলিয়া দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার জেরে বৃদ্ধার আরেক ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। চামেলিয়া দেবীর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে জিগনা থানায় রামসুরতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারই অভিযুক্ত রামসুরতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনা পুঙ্খনুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
অন্যদিকে, পারিবারিক বিবাদের জেরে আরেক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাটি ঘটে হামিরপুরে। এক যুবক তাঁর ২৪ বছর বয়সি স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়। খুনের পর অভিযুক্ত তার তিন বছরের শিশুসন্তানকে মায়ের লাশের সঙ্গেই ঘরে তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ রবিবার এই খবর জানিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তোলপাড় চারিদিক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মইনউদ্দিন৷ সে সরকারি রেশন ডিলার। বিবাদের জেরে সে তার স্ত্রী রোশ্নিকে পিটিয়ে খুন করে। খবর অনুযায়ী, মউদাহা থানা এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে মইনউদ্দিন ভালোবাসে রোশ্নিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে নানা খুটিনাটি বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগে থাকত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় রাগের মাথায় মইনউদ্দিন তার স্ত্রীর ওপর লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই রোশ্নির মৃত্যু হয়।
রবিবার সকালে তালা দেওয়া ঘর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা। এর পরই তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ভিতরে গিয়ে তাঁরা যা দেখেন, তাতে আঁতকে ওঠেন সকলে৷ ছোট্ট শিশু তার মায়ের রক্তমাখা দেহের পাশে বসে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
ঘটনার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মনোজ কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, "তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
