আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার ল-কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ থানার প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর নাম সোনিয়া হালদার(২১)। বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনিয়া আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন, সেই সুবাদেই কাকদ্বীপ কোর্টের আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের কাছে প্র্যাকটিসের জন্য যেতে। প্রতিদিনের মতো গতকালও সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই পরিবারের কাছে খবর আসে আইনজীবীর চেম্বারের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সোনিয়ার দেহ।  এরপরই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় কাকদ্বীপ থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
 
পরিবার সূত্রে খবর, আইনের ছাত্রী ছিলেন ওই যুবতী। সেই সুবাদেই কাকদ্বীপ কোর্টের এক আইনজীবীর কাছে প্র্যাকটিসের জন্য যেতেন। বুধবার সন্ধেয় পরিবারের কাছে খবর যায়, আইনজীবীর চেম্বারের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে তাঁর দেহ। যুবতীর ব্যাগ থেকে বেশকিছু চিঠি উদ্ধার হয়েছে। ওই আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল,  এমনটাই যুবতীর পরিবারের দাবি। তার জেরেই ওই ঘটনা বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে ওই আইনজীবীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 তবে কী কারণে মৃত্যু এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে। মৃতার বোন সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'দিদি কিছুই বলে যায়নি। সকালে হাসিমুখে বেরিয়ে গেল। আমরা চারটে নাগাদ খবর পাই। খবর পেয়ে বাবা ওখানে যায়। দিদি ল পড়ছিল। পাশাপাশি ওই আইনজীবীর কাছে যেত কাজ শিখতে। প্রায় একবছর ওখানে যাতায়াত করছে। কী হয়েছিল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ওর ব্যাগ থেকে কিছু চিঠি পাওয়া গিয়েছে সেখানে অনেককিছুই লেখা রয়েছে। তার উপরে ভিত্তি করেই আইনজীবীর নামে অভিযোগ করব।' মৃতের বাবা বলেন, 'ওই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখেছি। রোজই মেয়ে ফোন করে। ওইদিন করেনি। চারটের সময়ে ওখান থেকে ফোন এল। বলল যেতে হবে।' ওই ঘটনায় যে আইনজীবীর নাম জড়িয়েছে, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।