আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মেয়ে রিচা ঘোষ বাড়িতে ফিরেছে। নিজের শহরে ফিরতেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তায় কেটে গেল গোটা একটা দিন। আর বিকেলে সোনার মেয়ে রিচাকে দেওয়া হল নাগরিক সংবর্ধনা। তাঁকে বাঘাযতীন পার্কের রবীন্দ্র মঞ্চে সংবর্ধিত করা হল। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিনন্দন বার্তা, তারপর কবি সুবোধ সরকারে কবিতা পাঠ। এক অভিনব নাগরিক সংবর্ধনার সাক্ষী থাকল শিলিগুড়িবাসী। শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে দেওয়া হল মানপত্র, ফুলের তোড়া, সোনার ব্রেসলেট ও ট্রলি ব্যাগ।

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরীর সৌজন্যে রিচার হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনার চেন, যা রিচার হাতে তুলে দিয়েছেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাস্কর রায়। সেই সঙ্গে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান তিনি। মহকুমা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়েছে ঘড়ি, এসজেডিএ দেয় সোনার চেন। দুর্গা মূর্তি দিয়ে সংবর্ধিত করে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। শিলিগুড়ি রেফারি অ্যান্ড আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ফুলের তোড়া ও শাড়ি। ১৩০টি সংগঠন রিচাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছিল এদিন। এর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ক্লাব, ক্রীড়া সংগঠন, রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংস্থাও। একপ্রকার সংবর্ধনার জোয়ার ও উপহারে ঢেকে পড়েন বিশ্বজয়ী রিচা। 

গত রবিবার বাঘাযতীন পার্কের রবীন্দ্র মঞ্চে রিচার বিশ্বজয়ের সাক্ষী হয়েছিল শহরবাসী। শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়েছিল মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। রিচার সুভাষপল্লীর বাড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে এই পার্কে অভিনব কায়দায় সংবর্ধনা দেওয়া হল। লাল কার্পেট বিছানো হয়েছিল রিচার যাত্রাপথে। সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত রিচা বলেন, "এমন ভালোবাসা পেয়ে আমি গর্বিত। আগামীতে আরও ভালো খেলতে চাই।" সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, এসজেডিএর চেয়ারম্যান দিলীপ দুগ্গার, রিচার অনুপ্রেরণা বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ ও মা স্বপ্নাদেবী। বিকেল থেকে রাত গড়িয়ে যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তবুও রিচা ছিলেন ক্লান্তিহীন।