আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভালবাসার মানুষটা তাঁকে বিয়ে করবে না জেনেও ভুলতে পারেনি। বারবার ব্লাকমেল করত। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করত। বাধ্য হয়েই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ডোমজুড়ের যুবতী। প্রেমিক আব্দুর রহমানকে আদরের ছলে শাস্তি দিতে অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিল ছুরি। দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। বাড়িতে ডেকে বাড়ির পাশে বাগানে অন্তরঙ্গ হওয়ার সময় আব্দুরের গোপনাঙ্গে এক কোপে কেটে দেন। এমনটাই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সোমাইয়া। বর্তমানে ওই যুবতী পুলিশি হেফাজতে থাকলেও ভয়াবহ এই ঘটনার রেশ এখনও ভুলতে পারেনি এলাকাবাসী।
কেউ কেউ জানাচ্ছেন, মেয়েটি ভালবেসেছিল আব্দুরকে। যে কারণে প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরেও দূরে সরাতে পারেননি তিনি। নিরুপায় হয়ে ঘটিয়ে ফেলেছেন এই ভয়াবহ কাণ্ড। আবার অনেকের বক্তব্য, মেয়েটি ছুরিটা কীভাবে পেল পরিবারের লোকজন ঘুণাক্ষরেও টের পেল না? জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, মোবাইল ঘেঁটে মানুষ এখন সবকিছু হাতের মুঠোয় পেয়ে যাচ্ছেন। অনলাইনে শপিং অ্যাপ থেকে মানুষ কী অর্ডার দিচ্ছেন অন্যরা তা বুঝতেও পারছেন না। হয়ত এভাবেই ওই যুবতী পরিবারের সকলের অলক্ষে ছুরি অর্ডার করেছেন। তবে পুলিশি জেরায় সোমাইয়াকে একবারের জন্যও অনুতপ্ত মনে হয়নি বলেই খবর পুলিশ সূত্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমিক আব্দুর তাদের সম্পর্কের গোপন মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিল তার মোবাইলে।
ওই সমস্ত ছবি ফাঁস করে দেবার জন্য ভয় দেখাত। ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হত সোমাইয়ার সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে বেঁকে বসত সে। কয়েক বছর আগে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ভালোবাসার মানুষকে ভুলতে পারেনি সোমাইয়া। তবে এবার আব্দুর সব সম্পর্ক ছেদ করতে চেয়েছিল। তারপরেই শেষ বারের মত ওই যুবতী আব্দুরকে ডেকে পাঠায় বাড়িতে। অনলাইনে কিনে রাখা ছুরি আগে থেকেই ছিল। আব্দুর প্রেমিকার বাড়িতে আসতেই সোমাইয়া তাকে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে গিয়ে আদরের ছলে চোখ বেঁধে দেয়। তারপরেই প্রেমিকের গোপনাঙ্গে ছুরির কোপ বসায় বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে ধৃত তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
