আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওপার বাংলায় অশান্তির আগুন। জায়গায় জায়গায় আক্রমণ হানা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর। পালিয়ে বাংলাদেশ থেকে এপারে চলে আসতে চাইছেন সংখ্যালঘুরা। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও গোলমালের খবর আসছে। এরইমধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে গেল ৩৬টি ওয়াগন। বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলার গেদে সীমান্ত দিয়ে এই ওয়াগনগুলি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি অনুযায়ী এই ওয়াগনগুলি পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়। 

 

 

 

পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, 'ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যে ওয়াগন পাঠানোর চুক্তি হয়েছিল সেই মোতাবেক ওই সংস্থা ৩৬টি খালি ওয়াগন আজ পাঠায়। ওয়াগনগুলি গেদে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।' বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই কলকাতা থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দু'দেশের ব্যবসায়ী থেকে নানা কারণে যাদের ভারত থেকে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করতে হয় তাঁরা পড়েছেন সমস্যায়। সকলেই চাইছেন দ্রুত অশান্তির আঁচ নিভে পরিস্থিতি শান্ত হোক পদ্মাপাড়ের ওই দেশে। 

 

 

 

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে সরব সকলেই।  কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা কোনও বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি নেবে না। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন তাঁদের হোটেলে কোনও বাংলাদেশিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালদার হোটেল মালিকরাও। যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ফের দু'দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য গড়ে উঠুক তা চাইছেন সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন। গেদে সীমান্তের বাসিন্দা অলক বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'এই যে মালগাড়ি যাচ্ছে সেটা একটা ভালো দিক। দু'দেশের সম্পর্ক যদি খারাপ হয় তবে তার প্রভাব সব কিছুতেই পড়বে।'