আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিঘার বালুকাবেলায় সন্ধ্যা নামলেই দেখা মেলে এক আশ্চর্য দৃশ্যের। সোনালী রঙে মোড়া এক যুবক ঘন্টার পর ঘন্টা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, যেন এক অচল মূর্তি। দূর থেকে মনে হয় ধাতব কোনও প্রতিমা, কিন্তু কাছে এলেই বোঝা যায়—এটি জীবন্ত!
তিনি ওড়িশার বালেশ্বর জেলার ছানাগাঁও-এর মানস সরেন। জীবিকা আর ভালোবাসা—দুটোকেই এক করে তুলেছেন এই যুবক। পর্যটকদের কেউ প্রথমে অবাক হয়ে বলেন, “ওইটা কি সত্যি মানুষ নাকি মূর্তি?” আরেকজন বলেন, “অবিশ্বাস্য! এতক্ষণ নড়ছে না!” কেউ হাসিমুখে সেলফি তোলেন, কেউ আবার কয়েন ছুঁড়ে দিয়ে যান প্রশংসার বার্তা।
মানস জানান---- “আমি মূর্তি হয়ে দাঁড়াই, কিন্তু আমার মূর্তিতে প্রাণ আছে। যখন দেখি মানুষ হাসছে, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।”
আগে মেলা-প্রাঙ্গণে রাম, কৃষ্ণ বা সৈনিকের সাজে অভিনয় করতেন মানস। আয় ছিল সামান্য, সংসার চলত কষ্টে। তাই পাড়ি দেন দিঘায়—যেখানে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ভিড় করেন। সন্ধ্যা নামতেই তিনি রঙে ঢেকে যান, মুখে ধাতব আভা লাগান, আর নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকেন বালুকাবেলায়।
আজ দিঘার সমুদ্রতটে মানস সরেন শুধু এক শিল্পী নন, সংগ্রামের প্রতীকও বটে। তাঁর জীবন্ত মূর্তি যেন নিঃশব্দে বলে যায়—
“শরীর স্থির, কিন্তু ইচ্ছেটা অচল নয়।”
