আজকাল ওয়েবডেস্ক: পদ্মা নদীর শুকিয়ে যাওয়া শাখায় (স্থানীয়ভাবে মরা পদ্মা নামে পরিচিত) স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই  ছাত্রের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা সেখানে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদে লালগোলা থানার মানিকচক-বাবুঘাট এলাকায়।

  
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত দুই ছাত্রের নাম আলতামাস কবীর (১৩), বাড়ি মানিকচক গ্রামে এবং খালিদ হাসান (১৭), বাড়ি কাহারপাড়া গ্রামে। 
আলতামাস স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল এবং খালিদ হাসান মানিকচক হাই মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 
স্থানীয়রা বলছেন, পড়াশোনার জন্য আলতামাস এবং খালিদ দু' জনেই লালগোলার আল মামুন মডেল স্কুলে আবাসিক ছাত্র হিসাবে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস শুরু এবং খাওয়া দাওয়া করার আগে আরও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ওই দুই ছাত্র আষাড়িদহ এলাকায় বাবুঘাটের কাছে পদ্মা নদীর শাখায় স্নান করতে যান।

 
মহম্মদ এসারুল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'সারা বছর পদ্মা নদীর ওই শাখায় জল থাকে না। তবে গত কয়েকদিন ধরে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছড়ায় মরা পদ্মায় হঠাৎ করেই জলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ওই দুই ছাত্র যখন নদীতে স্নান করতে নামে সেই সময় মডেল স্কুলের আরও বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী নদীর পাড়ে উপস্থিত ছিল। আলতামাস এবং খালিদ জলের পরিমাণ আন্দাজ করতে না পেরে স্নান করতে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই তলিয়ে যায়। ঘাটে উপস্থিত অন্য ছাত্ররা বহু চেষ্টা করেও তাদের দুই বন্ধুকে উদ্ধার করতে পারেনি।'

 
ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় গ্রামবাসী এবং পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। নিখোঁজ হওয়ার বেশ কিছুক্ষন পর দুই ছাত্রকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায়    পদ্মা নদীর জল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কৃষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনা পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকা জুড়ে।