মিল্টন সেন,হুগলি: হুগলির স্কুল পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা পৌঁছেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তদন্তে নেমে শুক্রবার ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত দুই অভিযুক্তকে চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার থানা। অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে হুগলিতে আনা হয়েছে। শনিবার গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্তকে তোলা হয় চন্দননগর মহকুমা আদালতে।
অভিযুক্ত দুজন এমডি ফারুক আলম এবং গুলজার আলি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ট্যাবের টাকা গরমিলের ক্ষেত্রে ধৃত দুজনের সক্রিয় ভূমিকা থাকার প্রমাণ মিলেছে। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার একাধিক থানায় ১০০টির বেশি স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। অভিযোগ জমা পড়েছে জেলার একাধিক থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার দপ্তরের আধিকারিকরা।
তদন্তের সূত্র ধরে পুলিশ আধিকারিকেরা পৌঁছন দক্ষিণ দিনাজপুরের চোপড়ায়। দিনাজপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় চোপড়া থানা এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃত গুলজার আলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্কুল পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। একইসঙ্গে তদন্তে পাওয়া গেছে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গডরমিল করানোর ক্ষেত্রে দুজনের সক্রিয় যোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যেই সেই প্রমাণ পুলিশের হাতে পৌঁছেছে। সাইবার ক্রাইম দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পরিষ্কার হয়নি অভিযুক্তরা কীভাবে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকাল। আর কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং কতদিন ধরে তারা এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়গুলি জানতে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
