আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিষ-মারি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম জয়ন্ত মণ্ডল (৪০)। তিনি জয়নগর থানার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। জয়ন্ত পেশায় ইটভাটার মালিক। প্রতিদিনের মতই এ দিনও কুলতলীর অনন্যা ইটভাটা থেকে টাকা নিয়ে মহিষ-মারি এলাকা থেকে বাইকে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। সেই সময় নির্জন রাস্তায় দুষ্কৃতীরা জয়ন্তকে গুলি করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে সে। এরপর স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় জয়ন্তকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইতিমধ্যে জয়নগর থানার পুলিশ জয়ন্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। জয়ন্ত মণ্ডলের ভাই সুব্রত বলেছেন, "দাদা ও আমি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ইট ভাটাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে। আজ আমার দাদাকে পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর পূর্ণ ভরসা রয়েছে।"
ইটভাটা শ্রমিক প্রহ্লাদ নস্কর বলেন, "প্রতিদিনের মতই জয়ন্তদা ইটভাটা থেকে বাড়ি যাচ্ছিল সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। জয়ন্ত দার কাছে নগদ টাকা ছিল। নগদ টাকা লুটের জন্যই হয়তো জয়ন্তকে দাকে নৃশংস ভাবে খুন হল।"
তবে এই নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক পরিকল্পনা তার খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, "জয়ন্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে জয়নগর থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা। কিন্তু এর পিছনে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জয়নগর থানার পক্ষ থেকে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।"
