আজকাল ওয়েবডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট ও গুসকরা পুরসভার নেতৃত্বে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কাটোয়া পুরসভার পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহাকে সরিয়ে নতুন পুরপ্রধান করা হয়েছে কমলাকান্ত চক্রবর্তীকে। উপপুরপ্রধান লক্ষিন্দর মণ্ডলের জায়গায় দায়িত্ব পাবেন ইউসুফা খাতুন।
কালনা পুরসভার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তের স্থানে দায়িত্ব নিচ্ছেন রিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল পদে বহাল থাকছেন।
গুসকরা পুরসভার উপপুরপ্রধান বেলি বেগমকে সরিয়ে সাধনা কোনারকে নতুন উপপুরপ্রধান করা হয়েছে। তবে পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায় পদে বহাল থাকছেন।
দাঁইহাট পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ রায়ের পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমর সাহাকে, আর উপপুরপ্রধান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগের মতোই পদে থাকছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এই বদল করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।”
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সৈকত চ্যাটার্জি। আগের চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে সরিয়ে তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান করা হল।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলেন সন্দীপ মাহাতো। তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অনন্তদেব অধিকারী।
ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন মনোজ রায়। এবার অনন্তদেব অধিকারীকে সরিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান করা হল মনোজ রায়কে।
পাশাপাশি ময়নাগুড়ি পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমেশ সান্যালকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হল। অন্যদিকে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছে উৎপল ভাদুড়ি এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলন ছেত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, যারা নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তাঁরাও দলের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৮০,৬৮১ জন বুথ লেভেল অফিসার (BLO)।
অর্থাৎ, রাজ্যের যতগুলো বুথ রয়েছে, প্রতিটি বুথেই একজন করে বিএলও দায়িত্ব পালন করবেন। এসআইআর প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য হল–ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তা যাচাই করা, নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং মৃত বা অযোগ্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া।
প্রতিটি বিএলও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তথ্য মিলিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
প্রসঙ্গত, এই কাজে মূলত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারী ও স্কুল শিক্ষকদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে, সম্প্রতি বিএলওদের একাংশ এই দায়িত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
গত শনিবার প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁরা জানিয়েছিলেন, বিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি এসআইআর এর মতো জটিল দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত কষ্টকর।
কারণ তাদেরও পরিবার আছে, তাদের নিজেদের জীবন আছে এবং সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। অন্যদিকে, সোমবার ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে রাজ্যের প্রধান নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অল ইন্ডিয়া ইমাম সংগঠনের প্রতিনিধি দল।
তাঁদের প্রধান দাবি ছিল– এসআইআর প্রক্রিয়ায় যেন কোনওভাবেই প্রকৃত ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়। তাঁরা আরও বলেন, রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় এই প্রক্রিয়া সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি।
