আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তানদের অবহেলার শিকার এক বৃদ্ধার পাশে দাঁড়াল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের ঘটনা। ছেলেরা মা'র দিকে ফিরেও দেখে না। এক জরাজীর্ণ মাটির গোয়াল ঘরে দিন কাটে ৮০ বছর পেরনো সুরভী মন্ডলের। ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে সন্তোষ মন্ডল ও মনতোষ মন্ডল তাদের পরিবার নিয়ে একই বাড়িতে থাকলেও মায়ের দিকে ফিরেও তাকায় না তারা। ছোট ছেলে ভিন রাজ্যে কাজ করে। তার পরিবার এখানে থাকে। প্রতিবেশীদের থেকে চেয়েচিন্তে কোনোররকমে দিন চলে বৃদ্ধা সুরভী মন্ডলের। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থানার দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৯ নম্বর বুথ এলাকার ঘটনা। 

জানা গিয়েছে, দুই ছেলেই কিছুটা লেখাপড়া করেছে। বড় ছেলে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলেও বৃদ্ধ মা'কে খেতে পরতে দেয় না বলেই অভিযোগ প্রতিবেশীদের। পাশেই থাকে তবু মায়ের দিকে  ফিরেও তাকায় না। জরাজীর্ণ একটি মাটির গোয়াল ঘরে  সুরভী মন্ডল অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। হাঁটাচলার সামর্থ প্রায় নেই বললেই চলে।  

আরও পড়ুন: ভয়াবহ! বাইক টেনে নিয়ে গেল প্রায় এক কিলোমিটার! মদ্যপ শিক্ষকের কাণ্ডে চরম শোরগোল যোগীরাজ্যে 

 

প্রতিবেশীরা যখন যেটুকু খেতে দেন তা দিয়েই পেট ভরে বৃদ্ধার। মায়ের প্রতি ছেলেদের অবহেলা  সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলে বৃদ্ধার বড় ছেলে সন্তোষ মন্ডল প্রতিবেশীদের  মারধর করে বলেও অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে অভিযোগ করলে খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হিঙ্গলগঞ্জ থানার ওসি  সন্দীপ সরকার  বৃদ্ধাকে পরনের কাপড়, শীতের বস্ত্র, বিছানা ও  খাবারের ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধাকে সবরকম সহায্যের আশ্বাস দেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিশু হালদার বলেন, এর আগে বৃদ্ধার ছেলেদের বলেছি, কিন্তু আমাদের কথা কানে তোলেনি ছেলেরা। শেষপর্যন্ত গ্রামবাসীদের তৎপরতায় হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের মারধরের অভিযোগে পুলিশ সন্তোষ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই দুই ছেলের পরিবার মা'র প্রতি দায়িত্বশীল হয়েছে।