আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসাইআর)-এর খসড়া তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল থেকে খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে কি না তা দেখতে পাচ্ছেন ভোটাররা। কমিশনে অ্যাপ ইসিআইএনইটি এবং নির্দিষ্ট পোর্টালে নিজের এপিক নম্বর দিলেই জেনে নিতে পারছেন তালিকায় নাম রয়েছে কি না। খসড়া তালিকায় ৭ কোটি ৮ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৩১ জনের নাম থাকার কথা। মৃত, অন্যত্র চলে যাওয়া, নিখোঁজ বা ভুয়ো ভোটার এবং যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেননি, তাঁরা বাদে সকলেরই নাম থাকার কথা এই তালিকায়।

যাদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের কী কী করণীয়। কীভাবে তাঁদের শুনানিতে ডাকবে কমিশন, শুনানির নোটিস দেওয়া হবে কীভাবে, দাবি বা আপত্তি জানানো হবে কীভাবে, রইল বিস্তারিত-

শুনানি এবং নোটিস পর্ব

খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুনানির নোটিস জারি করা শুরু করবে কমিশন। নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে কমিশন নোটিস জারি করতে পারে। তা পৌছে দিতে পারেন বিএলও-রা। নোটিশ জারি করার পর শুনানির জন্য নথি যাচাই করে দেখার জন্য প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় এক জন ইআরও এবং ১০ এইআরও দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিদিন ১০০ জন করে প্রত্যেক ঘরে শুনানি হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একদিনে ১১০০ জনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা সম্ভব না হলে অন্য দিন ধার্য করা হবে। 

প্রয়োজনে দৈনিক শুনানির সংখ্যা বাড়তে পারে। তাহলে আধিকারিকে সংখ্যা বাড়বে। জেলাশাসক, এসডিও এবং বিডিও অফিসে শুনানি হবে। শুনানি কেন্দ্রে নিযুক্ত হতে পারেন মাইক্রো-অবজারভার।

শুনানির আওতায় কারা

এসআইআর ‘ম্যাপিং’য়ে না থাকা প্রায় ৩১ লক্ষ ভোটার নোটিস পাবেনই। পুনরায় যাচাই করা হবে এমন ভোটারের সংখ্যা হল মোট ১.৬৭ কোটি। এর মধ্যে একটি বড় সংখ্যা শুনানির নোটিস পেতে পারেন। নাম ভুল সংক্রান্ত বিষয়ে ডাক পড়বে না। তবে একাধিক ব্যক্তির বাবা-মায়ের একই নাম এবং বাবা বা ঠাকুরদার সঙ্গে বয়সের ব্যবধানে মিল খুঁজে না পাওয়া গেল ডাকা হবে শুনানিতে। নির্দিষ্ট প্রশ্ন হবে শুনানিতে। কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১৩টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। 

দাবি এবং আপত্তি জানানো যাবে কীভাবে

১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কেউ এবং রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ বা দাবি বা আপত্তি জানাতে পারবে। কোনও কারণে খসড়া তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নতুন ভোটারের আবেদনপত্র (ফর্ম-৬) ভরতে হবে। অনলাইনে নাম বাদ দিতে ফর্ম-৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম-৮ ভরতে হবে।

সোমবার কমিশন জানিয়েছিল, রাজ্যের খসড়া তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে ৫৮.২০ লক্ষ নাম। যদিও তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। বাতিল হওয়া নাম ছাড়া খসড়া তালিকার ভোটার সংখ্যা হল সাত কোটি আট লক্ষ।