আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের বাংলাদেশি পরিচয় গোপন রেখে সেনা ছাউনির পাশে সুপারভাইজার কাজ। শেষ পর্যন্ত ছাউনিতে প্রবেশ করতে গিয়ে মোবাইল থেকে উদ্ধার বাংলাদেশি পরিচয় পত্র! বাগডোগরার ব্যাঙডুবি সেনাছাউনি এলাকা থেকেই অবশেষে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গিয়েছে তিন-চার দিন ধরে ওই এলাকায় সেনার গতিবিধি দেখছিল ধৃত।
বুধবার নিজের নথি দেখাতে গিয়ে মোবাইল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। পরে ধৃতকে বাগডোগরা থানার হাতে তুলে দেয় সেনাকর্তারা। ধৃতের নাম নন্দ মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। তার ভারতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।
ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন নন্দ আদতে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা। অবৈধভাবে সীমান্ত পারা হয়ে এদেশে আসে নন্দ। তার মোবাইল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়পত্র-সহ ভারতীয় ভোটার কার্ড, প্যান ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা।
ধৃত পুলিশের কাছে জানিয়েছে ২০০২ সালের ভারতীয় ভোটার তালিকায় তার নাম রয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সেনাবাহিনীর এলাকা থেকে এই গ্রেপ্তারি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হোক।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে শিলিগুড়ির সেনা ছাউনির কাছ থেকে গ্রেপ্তার আরও এক বাংলাদেশি। বুধবার বাগডোগরার ব্যাংডুবি সেনা ছাউনির কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে। এই মাসেই এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল ব্যংডুবি সেনা পুলিশ। তার ঠিক ১৯ দিনের মাথায় আবারও ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এক নাগরিক। এই নিয়ে দুই বাংলাদেশি ধরা পড়লেন শিলিগুড়ির সেনা ছাউনির কাছে থেকেই।
বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ব্যাংডুবির এমিইএস মোড়ে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন সেনা জওয়ানরা। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, আজিজুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। এরপরই সেনা পুলিশ এবং গোয়েন্দারা দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। বুধবারই তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।
বাগডোগরা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজিজুলের বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুরের দামালপুরে। প্রায় কুড়ি দিন আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া সীমান্ত দিয়ে নদী পার হয়ে ভারতে ঢোকে সে। গত ২৫শে মে শুকনার কাছে শালবাড়িতে খোলা জায়গায় রাত কাটায়। ২৬শে মে চলে আসে ব্যাংডুবি সেনা ছাউনি সংলগ্ন জঙ্গলে। শালবাড়ি থেকে কেন তিনি ব্যাংডুবি চলে এলেন তার সদুত্তর মেলেনি। ধৃতের কথায় প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নামবে পুলিশ।
