আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। ভেঙেছে দুধিয়া লোহার সেতু ও বিজনবাড়ি সেতু। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭।  বিভিন্ন নজায়গায় রাস্তায় ধস নেমেছে। বন্ধ হয়ে দিয়েছ বহু রাস্তা। এই পরিস্থিতিতে মৃতদের পরিবারকে সববেদনা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এক্স-পোস্টে জানালেন যে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

এক্স-পোস্টে মোদি লিখেছেন, 'দার্জিলিংয়ে সেতু দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন- এই কামনা করি। প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের প্রেক্ষিতে দার্জিলিং ও আশেপাশের এলাকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 5, 2025

ভয়াবহ পরিস্থিতি পাহাড়ে। টানা কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। নদীর জল বইছে বিপদ সীমার উপরে। রাস্তাঘাট, রেললাইন জলের তলায়। জায়গায় জায়গায় পাহাড়ি রাস্তায় ধস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, সোমবার শিলিগুড়ি যাচ্ছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবও। রবিবার তিনি নবান্ন থেকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। এদিন মমতা ব্যানার্জি বলেন, 'আমি এবং মুখ্যসচিব আগামিকাল যাচ্ছি। শিলিগুড়ি থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখব। ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে অন্য রাস্তা দিয়ে।' সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব। 

রবিবার উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানও। বলেন, 'মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে প্রায় সাতটার বেশি ভূমি ধস হয়েছে প্রবল বর্ষণে। দার্জিলিং, মিরিকের লোহার ব্রিজ ভেঙেছে। কালিম্পংয়ের রাস্তা বন্ধ। অনেক পর্যটক আটকে রয়েছেন।'

পর্যটকদের নিয়েও এদিন বড় বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'আমি বলেছি, পর্যটকরা যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকবেন এখন। তার জন্য যেন অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া না দিতে হয়। হোটেল মালিক যেন অতিরিক্ত চাপ না দেন এই বিষয়ে, প্রশাসন নজর রাখবে সেদিকে। তাঁরা যেন তাড়াহুড়ো না করেন, আমরা সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনব। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সবাইকে ঠিকমতো পৌঁছে দেব।'