মিল্টন সেন, হুগলি: রাম নবমী ঘিরে তৎপর প্রশাসন। বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। থাকছে সিসি ক্যামেরা। করা নজরদারি থাকছে সামাজিক মাধ্যমে। নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে মোতায়েন থাকছে পুলিশ কর্মী। একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। শনিবার শোভাযাত্রার প্রত্যেকটি রুট পরিদর্শন করেছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। নিজে বাইক চালিয়ে প্রত্যেকটি শোভাযাত্রার রুট পরিদর্শন করেছেন। কথা বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করে পুলিশ কর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের কী কী বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
রাম নবমী উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির করছে সনাতনী একাধিক সংগঠন। শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে শোভাযাত্রায় সকলে কীভাবে অংশ নেবেন। তারা কীভাবে ঠাকুরের অস্ত্র হাতে শোভাযাত্রায় থাকবেন। এদিকে হুগলি জেলার অন্তর্গত চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় তিন দিন ধরে চলবে রাম নবমীর অনুষ্ঠান। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সতর্ক থাকছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেছেন, রাম নবমীর অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থাকছে সিসি ক্যামেরা। ভিডিওগ্রাফি করা হবে। প্রত্যেক জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। শোভাযাত্রা চলাকালীন নির্দিষ্ট কিছু রাস্তায় নো এন্টি করা থাকবে। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একাধিক এলাকাকে স্পর্শকাতর চিহ্নিত করে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকা সমস্ত স্তরের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি থাকছে। নজর রাখা হবে কন্ট্রোল রুম থেকে। কেউ গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়া, ডিজে বাজানো এবং একসঙ্গে অনেক মানুষের জমায়েত করার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ কমিশনার আশাবাদী, ঈদ যেমন সুষ্ঠুভাবে পালন হয়েছে, এমনি রাম নবমীও সুস্থভাবেই পালিত হবে। কোনও অসুবিধা হলে পুলিশ আছে। রাত দিন সবসময় তৎপর পুলিশ। অসঙ্গতি নজরে পড়লে পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে জানানো যেতে পারে। প্রত্যেকের কাছে থানার আইসিদের নম্বর আছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেবে।
ছবি পার্থ রাহা
