আজকাল ওয়েবডেস্ক: পায়ের ফিবুলা ভেঙেছে কুণাল ঘোষের। ভর্তি হাসপাতালে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দৈনন্দিন আপডেট দিচ্ছেন। তারমাঝেই বুধবার আজকাল ডট ইন-কে কুণাল জানিয়েছেন বড় তথ্য।
জানিয়েছেন বুধবার সকালে তাঁর খোঁজ নিতে ফোন করেছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, দুর্নীতির দায়ে দীর্ঘ কারাবাসের পর, জেলমুক্তি ঘটেছে পার্থর। কুণাল ঘোষ এদিন জানান, পার্থ চ্যাটার্জি তাঁর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহকর্মীকে ফোন করে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
বিরাট দুর্নীতির দায়ে যিনি জেলে গিয়েছিলেন, তিনি রাজনৈতিক সহকর্মীকে ফোনে জানিয়েছেন, 'আমি চুরি করিনি, এতটাও খারাপ আমি নই।' বুধবার সকাল ১০টার কিছু পরে পার্থ চ্যটার্জি কুণাল ঘোষকে ফোন করেন।
বুধবার কুণাল ঘোষকে ফোন করে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে কুণালের। তাঁকে গতকালই হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ব্রাত্য বসু। সেসবও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা।
লিখেছেন, 'পায়ে অপারেশন। হাসপাতালে। ঘুম, আধোঘুম। তার মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ। একটু গল্প। যাঁরা এসেছেন, যাঁরা খবর নিয়েছেন, ফোনে, সমাজমাধ্যমে আরোগ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ধন্যবাদ। পল্লীবাসী, চাকরির বা পেশার সহকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, অন্য ক্ষেত্রের পরিচিতদের ধন্যবাদ। যাঁরা এসেও দেখা করতে পারেননি, দয়া করে কিছু মনে করবেন না। অনুরোধ, কষ্ট করে এতটা পথ আসবেন না। পরে দেখা হবে। বিশেষ ধন্যবাদ আমার নেত্রী ও নেতাকে। সঙ্গে আবার বলি, আপাতত অন্তত প্রায় দুমাস আমার পক্ষে কোনো আমন্ত্রণ, কর্মসূচি, অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। যাঁদের কথা দিয়েছিলাম, ক্ষমা করবেন। আজই পশ্চিম মেদিনীপুর যাওয়ার কথা ছিল। পারিনি। আমিও মিস্ করলাম। এখন বিকল্প মাধ্যমেই যোগাযোগ কিছুদিন।'
স্নানঘরে গিয়ে পা ভেঙেছে তৃণমূল নে্গেছের। তাঁর বাড়িতেই এই ঘটনাটি ঘটে৷ আহত অবস্থায় কুণাল ঘোষকে ভর্তি করা হয় সল্টলেকের এক হাসপাতালে৷ সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। এই বিপত্তি ঘটে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ৷ উত্তর কলকাতার গড়পার রোডের বাড়িতে৷ সেখানেই আচমকা পিছল খেয়ে মেঝেতে পড়ে যান তিনি।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা রেফারি ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে পা ভেঙেছিল কুণাল ঘোষের। সেই সময় তাঁর বাঁ পায়ের হাড় ভেঙেছিল। খবর অনুযায়ী, 'রিপোর্টাস কাপ' এর ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলাকালীন এই বিপত্তি ঘটেছিল। ফলস্বরূপ তাঁর বাঁ পায়ে গুরুতর চোট লেগেছিল। খেলা চলাকালীন মাঝপথেই মাঠ ছেড়ে সাইডলাইনে গিয়ে বসতে হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। প্রথমে এটি সামান্য চোট বলে বিশেষ গুরুত্ব দেননি নেতা। কিন্তু ধীরে ধীরে যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে অবস্থার অবণতি হয়। ভর্তি করানো হয় কলকাতার এক হাসপাতালে।
