আজকাল ওয়েবডেস্ক: ত্রিপুরার পর পশ্চিমবঙ্গের মালদা। বাংলাদেশিদের জন্য হোটেলের দরজা বন্ধ করল এই জেলা। জেলার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সমর্থন করে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স। 

গত কয়েকমাস ধরেই অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। অভিযোগ উঠেছে সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে। অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন চালাচ্ছে সে দেশের মৌলবাদীরা। এই অবস্থায় রাজ্যের এই জেলার হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা তাঁদের হোটেলে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দেবেন না। উল্লেখ্য, মালদার মহদীপুরে একটি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকেন্দ্র রয়েছে এবং এখানকার চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন বহু বাংলাদেশের নাগরিক। বাণিজ্য ছাড়াও চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজের সূত্র ধরেও বহু বাংলাদেশি এই পথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ কাগজপত্র নিয়ে এদেশে প্রবেশ করেন। থাকেন মূলত ইংরেজবাজার এলাকার বিভিন্ন হোটেলে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে এই এলাকার হোটেল মালিকদের সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজনকে হোটেলে থাকতে দেওয়া যাবে না। 

জেলার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ব্যবসার দিক থেকে ভাবলে লোকসান হবে। কিন্তু সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমরা এটাও ভাবছি আদৌ যারা আসছেন তাঁরা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসছেন কিনা। ভবিষ্যতে কোনও আইনি জটিলতা এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশিদের ঘর ভাড়া দেওয়া হবে না। 

হোটেল মালিকরা এই বিষয়ে পাশে পেয়েছেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সকে। এই সংগঠনের সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, পড়শি রাজ্যে এখন অশান্তি চলছে। ফলে দুষ্কৃতীরা চোরা পথে এদেশে এসেও হোটেলে উঠতে পারে। যার জেরে পরবর্তী সময়ে এই হোটেল মালিকরা আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সেজন্যই আতঙ্ক থেকে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।