আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য জুড়ে প্রকাশিত এসআই আর-এর খসড়া ভোটার তালিকা। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ জেলার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে জানান, ইতিমধ্যেই মৃত ভোটারের সংখ্যা ৯৯,৩১৫।  স্থানান্তরিত, খোঁজ পাওয়া যায়নি ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে মোট ১,০২,৭৩৪ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় এসআইআর-এ বাদ গিয়েছে ২,০২,০৪৯ জনের নাম। 

জেলা শাসকের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা বেশ খানিকটা উল্লসিত। বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা জানান, এরপর আসল চিত্রটা সামনে আসবে। তাঁর আশঙ্কা, খসড়া তালিকাতেও বেশ কিছু ভুতূড়ে নাম থাকতে পারে। সেটা শুনানির পরে স্পষ্ট হবে বলেই মনে করেন তিনি। অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলাম বলেন, আমাদের রাজ্যের বেলায় এসআইআর-এর সময়সীমা বাড়ানো হল না কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এসআইআর-এর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। 
  
মঙ্গলবার বিকালে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে জেলাশাসকের দপ্তরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ।  ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শাসক, বিরোধী-সহ জেলার রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের রক্তদান শিবিরে এসে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, "এসআইআর হলেও বিজেপি এখানে গো-হারান হারবে। দল রিভিউ করছে। কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। দলের পক্ষ থেকে আমরা একশো শতাংশ লক্ষ্য রেখেছি।"

অন্যদিকে কোচবিহার জেলায় বাদ গিয়েছে লক্ষাধিক ভোটারের নাম। মঙ্গলবার খসরা তালিকা প্রকাশ পেতেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসরা তালিকা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তাঁর অভিযোগ, জীবিত মানুষকে 'মৃত' বলে দেখানো হচ্ছে এবং যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে আছেন তাঁদের 'খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিজিতের দাবি, কোচবিহার শহরেই এমন বহু ভোটার রয়েছেন যাঁরা নিয়মিত ভোট দিলেও খসরা তালিকায় বাদ গিয়েছেন। তাঁর কথায়, "জীবিত মানুষকে 'মৃত' বলে দেখানো হচ্ছে সেটা শুধু ভুল নয়, চরম অসঙ্গতি।