অরিন্দম মুখার্জি: জামশেদপুরে অ্যালকেমিস্ট অ্যাডমিশন প্রাইভেট লিমিটেডের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিমানটি গত মঙ্গলবার থেকে উধাও হয়ে যায়। তার ক'দিন পর সেটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পাইলট শুভদীপ দত্ত এবং শিক্ষক ক্যাপ্টেন শত্রুর মৃতদেহ চান্ডিল জলাধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল। উদ্ধারকার্যে যৌথভাবে এনডিআরএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দল ওই চান্ডিল জলাধারে গত মঙ্গলবার এর পর থেকে ক্রমাগত খুঁজে যাচ্ছে।
আজ সকালের তথ্য অনুসারে এখনও অব্দি যৌথভাবে এনডিআরএফ-এর 16 জনের দল এবং ভারতীয় নৌ বাহিনীর ১৫ জনের দল তারা যৌথভাবে চান্ডিল জলাধারে এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার হলেও ওই অ্যালকেমির প্রাইভেট লিমিটেডের যে প্লেনটা ট্রেনিং দেওয়ার জন্য হারিয়ে যায় তার খোঁজ এখনও ওই চান্ডিল জলাধারে কোনভাবেই খুঁজে পায়নি।
জলাধারের ১০ স্কয়ার কিলোমিটার জায়গা তারা এখনও অব্দি খুঁজে ফেলেছে কিন্তু জলের গভীরতা এতটাই যে তারা এখনও কোনও ভাবেই বিমানটির হদিস করতে পারেনি। যৌথ দল যারা এই পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, জলের গভীরতা এতটাই বেশি তার জন্য তারা সোলার মেশিন এবং এক্স-রে মেশিনের ব্যবহার করেছে যাতে কোনভাবে প্লেনটার খোঁজ পাওয়া যায়।
চান্ডিল জলাধার এটি সেরা কেলা ও খারসাওয়ান জেলায় অবস্থিত। জেলা প্রশাসন সবরকম ভাবে সাহায্য করছে এবং এই কাজের সাথে সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা রানী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন, সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পুলিশ। তিনি নিজেও সব সময় নজর রেখেছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দল আর এনডিআরএফ-এর দল তাদের আশা আছে, কারণ তারা শিক্ষার্থী পাইলট শুভ্রদীপ দত্ত এবং ক্যাপ্টেন জিৎ শত্রুর দেহ এই জলাধার থেকেই পেয়েছে। তার কারণে তারা আশা রাখছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানটির খোঁজ এই চান্ডিল জলাধার থেকে খুঁজে পাবে।
