আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার প্রতারকদের নজরে রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে'র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। যা জাল করে একের পর এক লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁদের সঙ্গে চলছিল আর্থিক প্রতারণা। বিষয়টি শেষপর্যন্ত নজরে আসে ওই পুলিশকর্তার। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্ত আসিফ ও আখিলকে। অভিযুক্তদের ট্র্যানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় এই রাজ্যে। আনার পর তাদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে প্রতারকরা। সেখানে ব্যবহার করা হয় তাঁর ছবি। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন লোকের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয় আর্থিক প্রতারণা। শেষপর্যন্ত বজবজ এলাকার প্রতারিত এক ব্যক্তি ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের নজরে আনেন। বিষয়টি জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু করা হয় একটি মামলা‌। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলার এসওজি বা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ-কে। তদন্তে নেমে এসওজি জানতে পারে রাজস্থান থেকে এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে অপরাধীরা। তাদের সন্ধানে শুরু হয় খোঁজখবর। 

আরও পড়ুন: সোনা, টাকা নয়, যৌতুক হিসেবে বন্দুক দিন মেয়েদের, পণের কাণ্ডের পর পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশ! তোলপাড় যোগীরাজ্য

শেষপর্যন্ত মরু রাজ্য থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্ত আসিফ ও আখিলকে। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানান, 'সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাই আমরা। এই ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা চালাচ্ছিল প্রতারকরা। বিষয়টি নজরে আসার পর আমরা তদন্ত শুরু করি। শেষপর্যন্ত ভিন রাজ্য থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকারও অনুরোধ করছি।' 

আরও পড়ুন: ৩ কোটি টাকা দিয়ে স্বপ্নের বাড়ি কিনেছিলেন, পা রাখা মাত্রই বীভৎস অভিজ্ঞতা তরুণীর, ভেঙে গেল সম্পর্কও!

যদিও ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এর আগে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতারকরা কখনও তাদের শিকার হিসেবে বেছে নিয়েছে সাধারণ মানুষকে আবার কখনও বেছে নিয়েছে সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের।‌তবে এক্ষেত্রে পুলিশের ব্যাখ্যা হল, একজন সাধারণ মানুষের নাম করে যদি কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় তবে সেই ডাকে অনেকেই সাড়া দিতে নাও পারেন। আবার যদি দেখা যায় একজন পদস্থ সরকারি কর্মী কাউকে ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে তবে সেটা খুশি মনে গ্রহণ করার লোকের সংখ্যাই বেশি। এই সুযোগটাই খোঁজে প্রতারকরা। এরপর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই টাকা চেয়ে অনুরোধ জানায় প্রতারকরা। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলেই মত এই পুলিশকর্মীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত সফল হয়নি প্রতারকরা।