আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রাম স্টেশন চত্বরে হঠাৎই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে আচমকাই দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্টেশনের পাশের টিকিট কাউন্টারের লাগোয়া এলাকায়।

ওই এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী পাকিয়ে ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। মুহূর্তে গোটা স্টেশন চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রেলকর্মীদের মধ্যেও। জানা গিয়েছে, রেল কর্তৃপক্ষের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা দীর্ঘদিনের পুরনো প্লাস্টিকের পাইপে হঠাৎই আগুন ধরে যায়।

কিন্তু কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুর প্রায় দু’টো নাগাদ আগুন দেখা মাত্রই আতঙ্কে ছুটে আসেন স্টেশন লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানের মালিক ও আশপাশের বাসিন্দারা।

দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে প্রাথমিক ভয় কাটিয়ে নিজেরাই দমকল আসার আগে সেই মুহূর্তে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। পাশাপাশি, জামালপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও উপস্থিত হন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। ঘটনার খবর পেয়ে মশাগ্রামে পৌঁছে যান জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি।

তিনি জানান, দমকলকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফল। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা রেলের সম্পত্তির এমন অব্যবস্থাপনা একেবারেই কাম্য নয়।

রেলের এই সম্পত্তি জাতীয় সম্পদের মধ্যেই পড়ে। রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিধায়ক।

উল্লেখ্য, শনিবার খাস কলকাতার এজরা স্ট্রিটে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ লালবাজারের কাছে এজরা স্ট্রিটের একটি ইলেকট্রিক দোকানে আগুন লাগে।

ওই দোকানের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিন সামগ্রী থাকায় ওই আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, আগুনের লেলিহান শিখা আশেপাশের বহুতলেও পৌঁছে যায়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।

ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে।

মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভাল করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ।

চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন।

পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে।

গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। তবে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

তাঁদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসে পৌঁছায়। যার কারণে আরও ছড়িয়ে পড়েছিল আগুনের লেলিহান শিখা।