আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেইমতো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল বারাসতের প্রীতম ঘোষ-এর মায়ের হাতে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতীম সরকার প্রীতমের মা কৃষ্ণা ঘোষের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। জানা গিয়েছে, আপাতত অস্থায়ী কর্মী হিসেবে উত্তর ২৪ পরগণার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে কৃষ্ণাদেবীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এদিন সুপ্রতীম ছাড়াও ছিলেন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবার একটি ম্যাটাডোরের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন বারাসত কাজীপাড়া ১ নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা বছর ৩৪-এর প্রীতম। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁকে তাঁর পরিজন ও অন্যান্য বাসিন্দারা বারাসত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করে মঙ্গলবার যখন দেহটি তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় তখন পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন প্রীতমের একটি চোখ নেই। চোখটি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর বাড়ির লোক। এই ঘটনায় প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর বাড়ির লোক ও প্রীতমের প্রতিবেশীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ।
হাসপাতালের ভিতরে ছাড়াও বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের সামনে যশোর রোডে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা যখন প্রতিবাদ করেছিলেন তখন বনগাঁ থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ভিড় দেখে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে প্রীতমের পরিবারের লোকজন হাসপাতালের মর্গের ভিতর থেকেই প্রীতমের চোখ চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। আর্জি জানান যেন তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।
গোটা ঘটনা শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেন ঘটনার তদন্ত হবে এবং দোষীদের আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন প্রীতমের পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। সেইমতো এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রীতমের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে প্রীতমের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
