আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জির অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও কয়েক লক্ষ টাকা।

জানা গিয়েছে, সাংসদের ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, কল্যাণ ব্যানার্জির স্টেট ব্যাঙ্কের হাইকোর্ট ব্রাঞ্চ থেকে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।

প্রথমে অ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট থেকে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়।

প্রাথমিক অনুমান, জাল কেওয়াইসি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই, ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি সাংসদের তরফে।

উল্লেখ্য, কল্যাণ ব্যানার্জি বর্তমানে শ্রীরামপুরের সাংসদ। পাশাপাশি, তিনি আইনজীবীও। সম্প্রতি, শ্রীরামপুরে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দুকে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ।

আক্রমণ শানান বিজেপিকে। স্মরণ করিয়ে দেন বাম আমলের অপকীর্তির নানা কথাও। কল্যাণ ব্যানার্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘এখন এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৬ এর ভোটে কত হাজার ভোটে তোমাকে হারাতে হয় শুধু দেখে নিও। তুমি মমতা ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ করছ। কত বড় নেতা? আমি তোমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের যে কোনও একটা আসনে দাঁড়িয়ে যদি জিতে দেখাও। তবে বুঝব তুমি বাপের ব্যাটা।’

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘আগামী ২০২৬শে নির্বাচন বড় লড়াই। লড়তে হবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। লড়তে হবে ভারতীয় জনতা পাটির বিরুদ্ধে। আগে বিজেপি যত ভুয়ো ভোটার আছে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটতে হবে। শুভেন্দুর কোনও ক্ষমতা নেই। ও নির্বাচন কমিশন, গভর্নর, সিআরপিএফ, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার উপর নির্ভর করে থাকে। এই বাংলায় দাঁড়িয়ে লড়াই করতে গেলে নরেন্দ্র মোদিকে তিনবার জন্ম নিতে হবে। রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট। কোনও উপকারে লাগে না। এসআইআর-টা ঠিক করে না করলে প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এই একটা বড় লড়াই। সবথেকে বড় ডাকাত শুভেন্দু অধিকারী।’

বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই রাজনীতিতে পোক্ত হয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জী। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি আর সিপিএম ভাগারের দিকে তাকিয়ে আছে। লক্ষ্য, কোথায় খুন হল। কোথায় ধর্ষণ হল। লাফিয়ে পরো। কোন্নগরে বাম জামানায় কোন মেয়েরা সন্ধ্যা সাতটা আটটার সময় বাইরে বেরোতে পারতো না। বামেরা এখন বড় বড় কথা বলছে, ওরা তো সব ধর্ষণের নায়ক। । ২০০৭ সালে বামফ্রন্টের হার্মাদ বাহিনী নন্দীগ্রামে ১২ ঘন্টায় ৫০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। বামফ্রন্ট মানে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় পশ্চিমবাংলায় সবথেকে বেশি গণহত্যা হয়েছে। বাংলার সব থেকে বেশি সর্বনাশ করে গিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর আজকে কিছু বামপন্থী বড় বড় কথা বলছে। তাদের অতীত কেউ ভুলে যায়নি। ওর ছবি টাঙিয়ে যতই ইনটেলেকচুয়াল বলুন না কেন, আমরা এখনও বলি ছিঃ বুদ্ধ ছিঃ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনি কদর্য ইতিহাস তৈরি করে গিয়েছেন।’