আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার ভোটে অক্সিজেন পদ্ম শিবিরে। নীতীশের দলের সঙ্গে জোট করে ভোট লড়েছিল বিহারে, দুই শরিক দলই এখনও পর্যন্ত বিপুল আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোট পিছিয়ে অনেকটাই। জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই বিহারে উচ্ছ্বাস-আনন্দ। পাটনায় উড়ছে গেরুয়া আবির। এসবের মাঝেই, জয়ের আগাম ইঙ্গিতে, বাংলার প্রসঙ্গ টেনেছেন বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহ। তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাতেও জিতব। ওখানে অরাজকতার সরকার, বাংলাদেশি সরকার, রোহিঙ্গা সরকার। বিহারের জয় আমাদের, এবার লক্ষ্য বাংলা।'
বিজেপি নেতার মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে পালটা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিজেপির কিছু নেতা, বাংলার কিংবা সর্বভারতীয় বিজেপির, তাঁরা বিহারের সঙ্গে বাংলাকে রিলেট করে "এরপর বাংলা" এই ধরনের ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাইছেন। খুব স্পষ্ট বলে রাখি, বিহারের ফল যাই হোক, দয়া করে কোনও কষ্টকল্পিত তুলনা বাংলার সঙ্গে করতে আসবে না। বিহারের ফলাফলের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না। এসআইআর বা এই ধরনের যা ইচ্ছা চক্রান্ত করতে পারেন, তার মোকাবিলা মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে, অভিষেক ব্যানার্জির সেনাপতিত্বের হবে।'
তারপরেই কুণাল বলেন, 'বাংলার রাজনীতির ফ্যাক্টর সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে উন্নয়ন, বাংলার সম্মান, বাংলার ভাষার সম্মান, পরিযায়ীদের প্রতি বিজেপির চূড়ান্ত অপমান, তাঁদের অধিকার রক্ষা, বাংলার মানুষদের বৈধ ভোটারদের অধিকার রক্ষা, কেন্দ্রের টাকার জন্য বঞ্চনা, প্রতিশোধের রাজনীতি, এখানে বিজেপি মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, মমতা ব্যানার্জি ভরসা। যাঁর উন্নয়নের মডেল অন্যান্য রাজ্যকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হয়।' কুণালের মতে, দুই রাজ্যের ফ্যাক্টর সম্পূর্ণ আলাদা, ফলে বিহারের প্রভাব, পড়বে না বাংলায়।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে তীব্র সুর চড়িয়ে। তাতে লেখা, 'বিজেপি বাংলা এবং বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছে তা ঘৃণ্য অবজ্ঞার প্রকাশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আমাদের গণদেবতার ইচ্ছায় নির্বাচিত বাংলার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে "বাংলাদেশি কী সরকার" এবং "রোহিঙ্গা কী সরকার" বলে অপবাদ দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। এটি জঘন্য অপবাদের চেয়ে কম নয়, যেখানে প্রতিটি বাঙালিকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গিরিরাজের দল যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের পায়ের কাছে নতজানু ছিল, তখন বাংলার বিপ্লবীরা অদম্য সাহসে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন।' ২০২৬-এ বাংলার মানুষ বিজেপিকে জবাব দেবে, উল্লেখ করা হয়েছে তাও।
