অরিন্দম মুখার্জি: পুরুলিয়ায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূচনা করা হল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বা ওয়ার্ল্ড লিটারেসি ডে। 

ইউনেস্কো সারা বিশ্বে সবার জন্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোগকে সমন্বয় করেছে। 

বিভিন্ন দেশের সরকার সহযোগী উন্নয়ন সংস্থা, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যম রয়েছে, যারা বর্তমানে ইউনেস্কের এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে চলেছে। ইউনেস্কো বিশ্বব্যাপী গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমকে তরান্বিত করার উদ্দেশ্যে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ বা পরিচালনা করছে তাতে সমাজের সকলস্তরের স্বার্থে। 

 

সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের বহু মানুষেরই ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অক্ষরজ্ঞানের অভাব রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক শিশু প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং আরও অনেকেই রয়েছে, যারা শিক্ষায় অনিয়মিত অথবা শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার আগেই সেই পথে থেকে ছিটকে গিয়েছে। বিশ্বে সবচেয়ে কম সাক্ষরতা হারে দেশগুলি হলো বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালি।

 

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আসলে জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা, ইউনেস্কোর ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৬৬ সালে ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে ১৪ তম অধিবেশনে ৮ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবস পালন হয়। লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়, ব্যক্তি সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্বকে তুলে ধরা। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এই দিবসটি উদযাপন করে। 

 

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বা ওয়ার্ল্ড লিটারেসি ডে যে নামে চিহ্নিত সেই রূপকে বাস্তবায়িত করার জন্য এদিন পুরুলিয়ার তথ্য সংস্কৃতি সভাঘরে পালিত হলো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। অনুষ্ঠানের শুরুতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত, পুরুলিয়া পৌরসভার পৌর প্রধান নবেন্দু মাহালী , পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হংশেশ্বর মাহাত, শিশু ও নারী কর্মাধ্যক্ষা শিবানী মাহাত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষা সুমিতা সিং মল্ল , ক্ষুদ্র ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষা নিলাঞ্জনা পট্টনায়েক, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সমরজিৎ মাহাত সহ আরো অনেকে এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।