মিল্টন সেন,হুগলি: পুজোর খরচ প্রায় অনেকটাই কমিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াল চুঁচুড়া কারবালা মোড় বিবেকানন্দ রোড সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। অভিনব মন্ডপ সজ্জা ও প্রতিমার জন্য জেলায় অন্যতম এই পুজো। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা সেরা পুজোর তালিকায় জায়গা পেয়েছে এই পুজো কমিটি। প্রায় ৫ মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ।
৬৭ তম বর্ষে পুজো কমিটির উদ্যোগে প্যারিসের অপেরা হাউস আবারও মন জয় করবে দর্শকদের। তবে শারদ উৎসবের আগেই পুজো কর্তৃপক্ষ তাদের মানবিক কাজ দিয়ে মন জয় করেছে। পুজোর বাজেটে কাটছাঁট করে সেই টাকা বন্যা দুর্গতদের জন্য খরচ করছে। অতি বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হুগলি হাওড়া মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কারবালা পুজো কমিটির সদস্যরা। হুগলির পুড়শুড়া খানাকুল আরামবাগ এলাকার বহু মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। কখনও রান্না করা খাবার নিয়ে পৌঁছেছেন তাদের কাছে। কখনও আবার শুকনো খাবার প্যাকেট বন্দি করে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন বন্যা দুর্গত মানুষদের কাছে।
কারবালা মোর বিবেকানন্দ রোড বারোয়ারির পুজোর উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেছেন, 'প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও জাঁকজমকপূর্ণ পুজো হচ্ছে। তবে এই বছর বাজেটের কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। পুজো চলাকালীন যে সমস্ত অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, সেই অনুষ্ঠান এবছর ছোটো করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের খরচ বাঁচিয়ে ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। পুজো কমিটির তরফে বন্যা পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। উৎসব সবাইকে নিয়েই হয়। তাই যারা বর্তমানে বন্যা কবলিত, তাদের পাশে দাঁড়ানোটাও উৎসবের অঙ্গ হিসেবেই তিনি মনে করেন।'
ছবি পার্থ রাহা।
