আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাঝপথে জাতীয় সড়কে চলন্ত বাসে আগুন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। হাওড়ার বালির ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটে গেল ভয়াবহ এই ঘটনা। অফিস টাইমে এক চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আচমকা অগ্নিকাণ্ড। জান গিয়েছে, ট্র্যাফিকে কর্তব্যরত এক অফিসারের সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপে রক্ষা পেলেন বাসের ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচে সকলে৷ বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা।

​জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ বালি হল্টের কাছে ধুলাগড়-নয়াবাদ রুটের বাসটি স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। এমন সময় আচমকা মাঝপথে থেমে যায় বাসটি। দাউদাউ আগুন লেগে যায়। কাছেই ট্র্যাফিক ডিউটিতে ছিলেন ট্র্যাফিক কর্মী অভিজিৎ অধিকারী। তিনিই প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন।

​অভিজিৎ অধিকারী জানান, "আমরা এখানে ট্র্যাফিক ডিউটি করছিলাম। তখন একটা গাড়ি থেমে যায়। গিয়ে দেখি বাসে আগুন লেগেছে। আমি তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে উপস্থিত কর্তব্যরত আধিকারিকদের সহায়তায় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামানোর কাজ শুরু করি।" দ্রুততার সঙ্গে সকল যাত্রীকে নিরাপদে বাস থেকে নামিয়ে আনা হয়। সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। বাসে সেই সময় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন।

​অগ্নিসংযোগে বাস থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়।

​প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে কীভাবে আগুন লাগলো, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। পরে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটিকে সরিয়ে রাস্তার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। ​ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যাত্রী বলেন, "ট্র্যাফিক আধিকারিক ও কর্মীদের তৎপরতাতেই আমাদের জীবন বাঁচে। সামান্য দেরি হলে বড় বিপদ হতে পারত।" ট্র্যাফিক অফিসারের এই বীরত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল কাজের জন্য সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।