মিল্টন সেন, হুগলি: শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা সহ হুগলির একাধিক জায়গায় চলল ইডির তল্লাশি। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকদের একটি দল চন্দননগরের পাদ্রী পাড়ায় একটি বাড়িতে পৌঁছয়। সেখানে বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যায় চন্দননগর পাদ্রীপাড়া বিবেকানন্দ সরণি অঞ্চলে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে চন্দননগরের ওই বাড়িতে কেউই বসবাস করেন না। সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরমশাইয়ের নাম রামকৃষ্ণ দাস। ওদিকে ইডি আধিকারিকদের আরও একটি দল পৌঁছয় বৈদ্যবাটি নার্সারি রোড এলাকায়। সেখানে কুণাল রায়ের বাড়িতে এসে শুরু করে তল্লাশি। তিনটি গাড়িতে ইডি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শঙ্করপল্লিতে কুণাল রায়ের বাড়িতে আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খোলা হয়। তার পর থেকে চলে টানা তল্লাশি। বেলা তিনটে নাগাদ ৮ ঘন্টা তল্লাশির পর দুটি বড় ব্যাগ হাতে সেখান থেকে চলে যায় ইডির তদন্তকারী দল। কি কারণে তল্লাশি তা জানা যায়নি। কুণালের এক আত্মীয় সুবীর দাস জানান, তিনি মেডিকেল লাইনে কাজ করেন। কুণাল বাবু কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। কেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি তা তিনি জানেন না। সাত সকালে ইডি হানা দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কি কারণে ইডি তল্লাশি সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি কুণাল বাবুর বাড়ির কোনও সদস্যই। তাঁদের বক্তব্য বিষয়টা একেবারেই তাঁদের ব্যক্তিগত। যা বলার ইডি বলবে।
ছবি: পার্থ রাহা
