আজকাল ওয়েবডেস্ক: এর আগেও, বারবার, গতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনার ঘটনা। বেপরোয়া গতির বলি এক খুদে। ঘটনায় উত্তাল ধনেখালির চারা বাগান। শিশু মৃত্যুতে উত্তাল এলাকা। দেহ নিয়ে পথ আটকে স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় অবরোধ করেন। 


ঘটনাস্থল ধনেখালির চারা বাগান। শনিবার রাতে দ্রুত গতিতে আসা এক বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় শিশুর। বুলেট গাড়িটি ধনেখালির দিক থেকে রকেট গতিতে এসে সজোরে ধাক্কা মারে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পালসার গাড়িতে। বুলেট গাড়িতে ছিলেন ৩ জন যুবক এবং পালসার গাড়িতে ছিল ৩ টি শিশু ও তার মা-বাবা। গুরুতর জখম হন উভয় বাইকের আরোহীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই একটি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি চারা বাগানে। 

এর আগেও, হুগলি জেলাতেই লরির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনাস্থল খাস চন্দননগর। ২৯ অক্টোবর,  ঠিক বৃষ্টি নামার আগে চন্দননগর কলুপুকুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ডপের সামনে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর।  অষ্টমীর সকাল। চুঁচুড়ার মতিঝিলের দম্পতি তরুণ কান্তি দাস ও শিবানী দাস বাইক নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। কলুপুকুর পুজো মণ্ডপের সামনে তাদের বাইকে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে। দু'জনেই রাস্তায় পড়ে যান। বাইকের পিছনে বসে ছিলেন শিবানী দাস(৫২)। তিনি রাস্তায় পড়তেই তাঁর উপর দিয়ে লরি চলে যায়। স্থানীয়রা ছুটে যান। ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে মারাত্মক বিপদ। পুলিশ লরি এবং চালককে আটক করেছিল।

চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলোতে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকে। নো এন্ট্রি থাকে অন্যান্য যানবাহনেও। বিসর্জনের শোভাযাত্রার আলো সাজানোর জন্য লরি এক জায়গা থেকে অন্য যায়গায় যায়। যে লরিটি দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি একটি পুজো কমিটির বলে জানা যায়। দূর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ, শববাহী গাড়ি। মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে, স্থানীয় আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওম প্রকাশ মাহাতো জানিয়েছিলেন, মানকুণ্ডু আদি পালপাড়ার লরি যাচ্ছিল। ধাক্কা মারে।দুপুর থেকে নো এন্ট্রি থাকে। আগামিদিনে শুধু লরি চালক খালাসি ছাড়া যাতে না যায় সেটা দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।'  


শুক্রবার সকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজারহাটে। করুণাময়ী আসার পথে, উলটে যায় যাত্রীবোঝাই বাস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাসটি বেড়াচাঁপা থেকে করুণাময়ীর দিকে আসছিল। জানা গিয়েছে, বাসটি আসার পথে, আচমকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারপরেই উলটে যায় খালে। ওই সময় বাসে অন্তত ৫০জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ৪৬ জন যাত্রী দুর্ঘটনায় আহত, তথ্য তেমনটাই।

 

দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। হাত লাগান উদ্ধারকার্যে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে বাসটিকে খাল থেকে তোলার চেষ্টা চলছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, এরমধ্যে গুরুত্বর জখম ৯ জনকে আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিদের রাজারহাটের রেকজোয়ানি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসযাত্রীদের অভিযোগ ড্রাইভার দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খড়িবাড়ি হাড়োয়ার খালে যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করলে পরে খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত। সাত সকালে অফিস টাইমের এই দুর্ঘটনায় রাজারহাট খড়িবাড়ি রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সিভিল ডিফেন্সের বিশেষ বাহিনী। নামানো হয় ডুবুরি দলও।