আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ মামলায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তের আরও গভীরে গিয়ে উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এক মেডিক্যাল ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
জানা গিয়েছে, ধৃত তরুণের নাম নিশার আলম। তিনি হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএসের ছাত্র। সন্দেহ, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ‘ডাক্তারি মডিউল’-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সূর্যাপুর বাজার চত্বর থেকেই নিশারকে আটক করে এনআইএ-র তদন্তকারীরা। লুধিয়ানায় বসবাসকারী নিশারের পৈতৃক বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে।
পরিবারের সদস্যরা কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় চলে গেলেও গ্রামে এখনও আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। দুই দিন আগে মা ও বোনকে নিয়ে সেই গ্রামেই এসেছিল নিশার। খবর পেয়ে দ্রুতই উত্তর দিনাজপুরে পৌঁছে যায় এনআইএ-র দল এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় ডাক্তারি মডিউল খুঁজতে গিয়ে আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত চালানো হয়। সেখান থেকেই উঠে আসে নিশারের নাম। এরপর লুধিয়ানায় গিয়ে তার বাবাকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
তিনি জানান, ছেলে আপাতত উত্তর দিনাজপুরে এসেছে। তারপরই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তদন্তকারী সংস্থা নিশারকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। গ্রেপ্তারের পর প্রথমে ইসলামপুরে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতকে।
পরে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ডাক্তারি পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও নিশারের যোগাযোগ ছিল নাশকতাকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ‘ডাক্তারি মডিউল’-এর সদস্যদের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬.৫২ মিনিটে লালকেল্লার সামনে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জনের এবং বহু মানুষ আহত হন। ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ডগ স্কোয়াড, এনএসজি ও ফরেন্সিক টিম তৎপরতা শুরু করে।
প্রথমে কোনও জখম ব্যক্তির শরীর থেকে স্প্লিন্টার না মিললেও প্রাথমিক তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এটি একটি সুপরিকল্পিত নাশকতা। পরে জানা যায়, আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল উমর মহম্মদ নামে এই চিকিৎসক।
পাশাপাশি, আরও দুই ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল ও আদিল সহ এই তিনজনের জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ।
এই মডিউলের সূত্র ধরেই উঠে আসে নিশারের নাম, যা এখন তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই গ্রেপ্তারিতে তদন্তে নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এনআইএ এখন খতিয়ে দেখছে, মেডিক্যাল ছাত্রের পরিচয়ের আড়ালে আরও বড় কোনও নাশকতা চক্র সক্রিয় ছিল কি না।
