অতীশ সেন, ডুয়ার্স: হাতির হানায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করল বনদপ্তর। সাধারণত বন্য জন্তুর হানায় কোনও মানুষের মৃত্যু হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়ে থাকে, কিন্ত এক্ষেত্রে উত্তরাধিকার নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে তিন মাস সময় লেগে গেল বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার মৃতের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়, পাশাপাশি মৃতের পরিবারের এক জনকে বনদপ্তরে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরতে এসেছিলেন মেটেলি ব্লকের নাগেশ্বরী চা বাগানের বাসিন্দা কেলমিন ওঁরাও (৫৫)। লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান সংলগ্ন ডায়নাবস্তির টুকরো জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়ে ৮ই জুন হাতির হানায় তিনি মারা যান। বনদপ্তর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন। যে আত্মীয়ের বাড়িতে কেলমিন বেড়াতে এসেছিলেন, তাঁদের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য বনদপ্তরের কাছে আবেদন জানানো হয়। বনদপ্তর তদন্তে গিয়ে জানতে পারে কেলমিনের স্ত্রী নাগেশ্বরী চা বাগানে থাকে। তিনিও এর পর ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানান। ক্ষতিপূরণ এর জন্য দুটি আবেদন জমা পড়ায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিডিও বানারহাট এবং বিডিও মেটেলির কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সেই বিষয়ে মেটেলির বিডিও জানান পিঙ্কি ওঁরাও (স্ত্রী), সিমলা ওঁরাও (মেয়ে) হল তার উত্তরাধিকারী।
এরপরই শুক্রবার সকালে ৫লক্ষ টাকার চেক পিঙ্কির হাতে তুলে দেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস। তিনি বলেন উত্তরাধিকারী নিশ্চিত করে মৃতের স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। মৃতের স্ত্রী পিঙ্কির বয়স প্রায় ৫৫ বছর হয়ে যাওয়ায় তিনি চাকরির জন্য যোগ্য নন, ফলে তার মেয়ে সিমলা ওঁরাও'কে চাকরি দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে, তবে তা সম্পন্ন হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লেগে যেতে পারে।
