মিল্টন সেন, হুগলি: এক নজরে মনে হতেই পারে ধর্মঘট চলছে। বন্ধ দোকানপাট, রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য, গাড়ি ঘোড়া তেমন নজরে পড়ছেনা। শুনশান ফেরিঘাট চত্বর। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার ছবিটা অনেকটাই ধর্মঘটের মতো। খোলেনি ফেরিঘাটের টিকিট কাউন্টার। ঘাটে ঢোকার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করা। ডানা ঘূর্নিঝড়ে বিপদ হতে পারে তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

 

বুধবার বিকাল পাঁচটা থেকে উত্তরপাড়া থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত গঙ্গায় যাবতীয় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেকের কাছে সেই খবর না থাকায়, যারা জানে না তেমন যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন ফেরিঘাট থেকে। ডানার প্রভাবে জেলা জুড়ে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ কালো করে আছে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। রাস্তা ঘাট বলতে গেলে জনমানব শূন্য। স্টেশন বাজারেও লোকজন কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে তেমন একটা লোকজনের দেখা মেলেনি। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউই। জেলার একাধিক জন্য এলাকায় খোলেনি দোকান পাট।

এদিন ট্রেন চলা স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী তেমন নজরে পড়েনি। হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে শুক্রবার অর্থাৎ ২৫ তারিখ ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব সবথেকে বেশি হবে। তাই পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে হাওড়া ডিভিশনে ৬৮ টি ট্রেন বাতিল থাকবে। হাওড়া বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখা, হাওড়া কাটোয়া শাখা এবং হাওড়া ব্যান্ডেল শাখা ও হাওড়া আরামবাগ শাখার আপ ও ডাউন মিলিয়ে ৬৮ টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

 

এদিকে ডানার গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। কন্ট্রোল রুমে সক্রিয় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। জেলা শাসকের দপ্তর সহ চার মহকুমা, ১৮ ব্লক এবং ১৩ টি পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশুদের খাবার, পানীয় জল। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। প্রস্তুত রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। শতাধিক শিবির এবং কমিউনিটি কিচেন খোলা হয়েছে।