আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে এনে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত মিঞাঁপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সালার থানার অন্তর্গত শালিন্দা গ্রামে।
ওই যুবতী স্থানীয় একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই মুন্না শেখ নামে এক যুবককে আটক করেছে।
ধৃত ওই যুবকের বাড়ি ভরতপুর থানা এলাকায়। মৃত জুলেখার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আট দিন আগে জুলেখা যখন বাড়ি থেকে কোনও একটি কাজে বেরিয়েছিল সেই সময় মুন্না শেখ তাকে 'অপহরণ' করে।
এরপর ওই ছাত্রীর বাড়ির লোক বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালালেও কোথাও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জুলেখার পরিবারকে ফোন করে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় মিঞাঁপুরে একটি বাড়িতে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
ওই মহিলার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ইতিমধ্যে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার কাকা বলেন, "একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত মুন্না শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে আমার ভাইঝি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। মুন্নার বাড়িতে দুই সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্কের কথা গোপন করে মুন্না আমার ভাইঝির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।"
তিনি বলেন ,"প্রায় ছ'মাস আগে মুন্না আমার ভাইঝিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। বহু চেষ্টার পর সে বাড়ি ফিরে আসে। আট দিন আগে মুন্না ফের তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চলে যায়।"
তিনি জানান," মুন্না আমার ভাইজিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তার নিজের 'ডেরা'য় একাধিকবার ধর্ষণ করেছিল এবং সেই ছবি নিজের মোবাইল ফোনে তুলে রেখেছিল। ভাইঝি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে মুন্না তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের গোপন ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে গিয়েছে। তার এই কুকীর্তির প্রমান আমাদের মোবাইল ফোনে রয়েছে।"
তিনি অভিযোগ করেন," ভাইঝি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করার জন্যই মুন্না তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। আমরা ওই যুবকের কঠোর শাস্তি দাবী করছি।"
মৃতার বাবা অভিযোগ করেন, "আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছে মুন্না শেখ নামে ওই যুবক। দিন আটেক আগে আমার মেয়ে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে যাচ্ছিল সেই সময়ে তাঁকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় আমি আমার মেয়ের খোঁজ করেছিলাম কিন্তু তাকে খুঁজে পাইনি। আমার মেয়ে গত কিছুদিন ধরে ভয়েস মেসেজ পাঠাত। সে আমাদের ফোন করতে পারত না। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ আমাকে ফোনে জানায় আমার মেয়ের প্রাণহীন দেহ রঘুনাথগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে।"
