আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিলস বানানোর নাম করে ডাক। ফোনে গোপন ছবি তুলে রেখে, দিনের পর দিন সেইসব ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি এবং জোর করে ধর্ষণ নাবালিকাকে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে, শনিবার সন্ধেয় উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 


হাড়োয়া থানার মোহনপুর এলাকায় ওই যুবকের পরিচিতি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তথ্য, এলাকায় পরিচিত ইউটিউবার হিসেবে।  ইউটিউবার  ও তাঁর এক নাবালক ছেলে  প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ও রিলস বানানোর নাম করে গত কয়েক মাস আগে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ৷

জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম অরবিন্দু মণ্ডল। তিনি এবং তাঁর ছেলে, ওই নাবালিকাকে ভিডিও এবং ছবি তোলার নাম করে নানা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন গত কয়েকমাসে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও বানানোর পাশাপাশি ওই নাবালিকার কিছু গোপন ছবি ও ভিডিও তোলেন অরবিন্দু। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবা-ছেলে মিলে চালাতেন অত্যাচার। যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে নাবালিকার পরিবার।

তথ্য, ওই নাবালিকা গত শুক্রবার সমস্ত ঘটনার কথা, তার পরিবারের লোকেদের জানায়। তার পরিবারে পক্ষ থেকে হাড়োয়া থানায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে হাড়োয়া থানার পুলিশ শনিবার সন্ধেয় ওই এলাকা থেকে অরবিন্দু ও তাঁর নাবালক ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে অরবিন্দুকে রবিবার দুপুরে পাঠানো হয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালতে ও নাবালোক ছেলেকে জুবিনাল কোর্টে পাঠানো হয় ৷

 

আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়, তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, ড্রোন উড়িয়ে চলছে তদন্ত

 

হাড়োয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে বেসরকারি এক মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ন’টার মধ্যে শোভাপুরের কাছে অবস্থিত ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক তরুণী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় একদল যুবক এবং পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়।

 

জানা গিয়েছে, ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। শুক্রবার রাতে তিনি সহপাঠী এক ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে হঠাৎই পাঁচজন যুবক এসে তাদের পথ আটকায়। অভিযোগ, জোর করে ওই তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তারা এবং কলেজ সংলগ্ন এক নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। 

ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

 

এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। কলেজ চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।