আজকাল ওয়েবডেস্ক: বসে গিয়েছে গোমতী নদীর বাঁধ। আর তাতে বেহাল হয়ে পড়েছে নদীবাঁধের ওপরের রাস্তা দিয়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত। গত কয়েক মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হেমনগরের বাসিন্দারা বেহাল নদীবাঁধের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। যদিও বিডিও দ্রুত ওই নদীবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমনগরে গোমতী নদীর বাঁধের ওপর কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। ওই বাঁধরাস্তার ওপর দিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চলতি বছর টানা বৃষ্টিতে ওই নদীবাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ অংশ বসে গিয়েছে। তাতে ইটের সোলিং বিপদজনক হয়ে পড়েছে। সোলিং করা ইটগুলো উঁচু-নিচু ভাবে যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। ওই নদীবাঁধের উপরে আলো নেই। দিনের বেলা বাসিন্দারা যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় তো পড়ছেনই। রাতে ওই রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। অসুস্থ রোগী বা প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। রাতের দিকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে কয়েকজন বাসিন্দা দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছেন। বাসিন্দারা দ্রুত ওই নদীবাঁধ মেরামতের দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশাখা মণ্ডল বলেন, 'কয়েক বছর আগে নদীর বাঁধের ওপরে সরকার ইটের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল। কয়েক মাস হল নদীর বাঁধ বসে গিয়েছে। বাঁধের উপরে ইটের রাস্তা বিপদজনক হয়ে আছে। রাতের দিকে অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। অসুস্থ রোগী বা প্রসূতিদের হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা সমস্যায় পড়ছি। আমরা চাই, সরকার তাড়াতাড়ি নদীবাঁধ মেরামত করে রাস্তাটা চলাচলের উপযুক্ত করে দিক।' স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল, লক্ষ্মী মিস্ত্রি ও বিষ্ণুপদ মণ্ডলও একই দাবি জানিয়েছেন।
হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'হেমনগরে নদীবাঁধ পরিদর্শনের জন্য শেষ দপ্তরের আধিকারিকদের পাঠানো হবে। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, খুব দ্রুত নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।'
