আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনায়। আবারও সেই ইছামতীতেই। এবার ইছামতীর জলে তলিয়ে গেল একটি চার চাকা গাড়ি। বরাত জোরে প্রাণ রক্ষা পেল চার আরোহীর। তাঁরা সকলেই কলেজ পড়ুয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় প্রাণ রক্ষা পেয়েছে তাঁদের। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
যাত্রী-সহ ইছামতী নদীতে তলিয়ে গেল চারচাকা একটি গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার তারাগুনিয়া ফেরিঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য ওই গাড়ির আরোহী চার কলেজ পড়ুয়াকে উদ্ধার করেছেন। তবে গাড়িটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত গাড়িটির হদিশ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: 'কেউ না থাকলেই জড়িয়ে ধরত', লাগাতার যৌন নির্যাতন শ্বশুরের, অপমানে বধূ যা করলেন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যার আগে চার কলেজ পড়ুয়া একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে বাদুড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তারাগুনিয়া ফেরিঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা তাঁদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইছামতী নদীর জলে পড়ে যায়।
ফেরিঘাটে তখন স্থানীয় বাসিন্দারা ছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁরা জলে নেমে ওই চার কলেজ পড়ুয়াকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু গাড়িটিকে আর উদ্ধার করা যায়নি। গাড়িতে থাকা ওই কলেজ পড়াদের বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে কলেজ পড়ুয়ারা নিয়ন্ত্রণ হারালেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খালের ধারে বস্তায় ও কী! আলতো করে খুলতেই বেরিয়ে এল ঠান্ডা হাত, শিউরে ওঠা কাণ্ড এই শহরে
আরোহী চার জনকে উদ্ধার করা গেলেও গাড়িটিকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ইছামতী নদীর বুকে গাড়িটির সন্ধান চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ মণ্ডল বলেন, 'চার কলেজ পড়ুয়া কোথায় যাচ্ছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। ফেরিঘাটের কাছে তাঁদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইছামতী নদীতে নেমে যায়। ফেরিঘাটের কর্মী ও স্থানীয় হালদারপাড়ার বাসিন্দারা তৎপরতার সঙ্গে গাড়ির আরোহীদের উদ্ধার করেছেন। গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি চলছে।'
প্রসঙ্গত, বছর দুই আগেও ইছামতীর কাছেই দুর্ঘটনায় একাধিক তরুণ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ইছামতীতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। বেপরোয়া গতির বাইক সজোরে ধাক্কা মারে ১১ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক পোস্টে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন যুবকের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন রাজেশ দাস (১৮), শুভঙ্কর দাস (২০) ও সহদেব দাস (২৩)। তিনজনেই বাদুড়িয়ার আটুরিয়া দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মাঝ রাত নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্বরূপনগরের গোকুলপুর এলাকায় আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি ধাক্কা মারে ইলেকট্রিক পোস্টে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন যুবককে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিন যুবকের মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তিন বন্ধু ইছামতীর প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে গিয়েছিলেন। একসঙ্গে ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতিই প্রাণ কেড়েছে তাঁদের।
