আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ টানাপোড়েনের অবসান। স্বস্তি। স্বস্তি হাইকোর্টের রায়ে। আর তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার রায়ে জানানো হল, ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়।
রায়ের কিছুক্ষণেই পোস্ট শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু লিখেছেন- 'আজকে মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে অভিনন্দন জানাই। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বাতিল হয়েছে। ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রইল। শিক্ষকদেরও সতত শুভেচ্ছা। সত্যের জয় হল।'
চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২৩ সালের মে মাসে, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় খারিজ করে দেয়। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নয়।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলার রায় দিতে গিয়ে, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি ২০২৩ সালের ১২ মে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করে দেন৷ রাজ্য সরকার এই রায়কে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে৷ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয়৷পরে মামলা আসে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু গত ৭ এপ্রিল বিচারপতি সৌমেন সেন ব্যক্তিগত কারণে মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান । এরপর চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়৷ ২ বছরের কিছু বেশি সময় ধরে শুনানির পর এই মামলার রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ অর্থাৎ মাঝের যে দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোড়েন, মানসিক অশান্তিতে ছিলেন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, এক কথায় তার অবসান।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, 'দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করলে পরিবারগুলির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।” আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্নীতির জন্য ৩২ হাজার প্রাথমিক চাকরি বাতিল করা হয়। কর্তৃপক্ষের ভুল কিংবা দুর্নীতির জন্য নিরীহ চাকুরিরতদের চাকরি বাতিল হতে পারে না। যাঁরা সফল হননি, তাঁদের জন্য সব কিছু ড্যামেজ হতে পারে না। এতদিন ধরে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরা কোনও প্রভাবশালীদের সঙ্গে যুক্ত নন।' তাই তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা।
