আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা বাজার কিছুক্ষণ পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কৃষ্ণমাটি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সেই সময় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
তাঁর বাড়ি ফেরার পথে পরপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে এলাকা কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের শব্দে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চালতা বেরিয়া এলাকায় এদিন এক কর্মীসভা করে ফিরছিলেন শওকত মোল্লা।
সভা শেষে তিনি গাড়িতে উঠে ফিরছিলেন বাড়ির দিকে। ফেরার পথে কৃষ্ণমাটি এলাকায় আচমকাই পরপর বোমা ফাটানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শওকাত মোল্লার গাড়ি তখন সভাস্থল থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাত দূরে ছিল, ঠিক সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনার পরই কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ আপাতত ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নেমেছে, পাশাপাশি এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
এই বোমাবাজির ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই হামলার পেছনে রয়েছে আইএসএফ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সভা চলছিল। সভা শেষে বিধায়ক বেরোতেই ওরা বোমা ছুড়ে দেয়। এটা বিধায়ক শওকত মোল্লার উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে বড় কিছু ঘটেনি।’
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘আইএসএফ ক্রমশই জনসমর্থন হারাচ্ছে, তাই ভয় দেখানোর রাজনীতি শুরু করেছে। কৃষ্ণমাটি শান্তিপ্রিয় গ্রাম, এখানে এই ধরণের ঘটনা আগে ঘটেনি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। তাদের পাল্টা দাবি, ‘তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওরা নিজেরাই বোমা মেরে এখন দায় চাপাচ্ছে আমাদের উপর।’
বর্তমানে ভাঙড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকা জুড়ে চাপে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
