মিল্টন সেন,হুগলি: মাত্র দশদিন পর ছিল বিয়ে। তার আগে বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যায়। ফিরে এসে আত্মঘাতী যুবক! কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত যুবকের নাম প্রদীপ কুমার সন্যাসী (৩৫), বাড়ি চুঁচুড়ার ধরমপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার ধরমপুর কালিতলার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার সন্যাসীর(৩৫) ধরমপুরেই একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যায় সে। রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফেরে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক দোকানদার দেখেন মিষ্টির দোকানের বিপরীতে একটি চারচালায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে প্রদীপ। খবর যায় পুলিশে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
যুবকের বন্ধু বিশ্বজিৎ পাল, কার্তিক মন্ডলরা বলেছেন, রাত এগারোটার সময় বাইক নিয়ে তারা জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছিলেন।প্রদীপ খুব হাসিখুশি ছিল। চিলিচিকেন তন্দুরি খেয়ে রাত আড়াইটেয় বাড়ি ফিরেছে সবাই। ঠাকুরের সামনে ছবিও তুলেছে সবাই। প্রদীপ ফিরে এসে জানায় সে রাতে দোকানেই শুয়ে পড়বে। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যান। সকালে খবর পায় আত্মহত্যা করেছে।
কেন এমন হল বুঝতে পারছে না পরিবারও। প্রদীপের মা-বাবা নেই। দুই দাদা ও তাদের পরিবার আছে। চুঁচুড়ার স্থানীয় এক আশ্রম কন্যার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল। আগামী ১৭ তারিখ ছিল বিয়ের দিন। কার্ড ছাপানো থেকে নিমন্ত্রণ সবকিছুই সারা হয়ে গিয়েছিল। তারপরও এই মৃত্যু কেন বুঝে উঠতে পারছে না বন্ধুরা। মৃতের এক দাদা জানিয়েছেন, তিনি ভাইকে মিষ্টির দোকান করে দিয়েছিলেন। ব্যবসাও ভাল চলছিল। কেনও এমন হল বুঝতে পারছেন না।
