আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ উঠেছিল চরমে। সন্তানকে স্বামীর বাড়ি ফেলে রেখে বাপের বাড়ি চলে যান তরুণী। পাল্টা করেন স্বামীর নামে মামলাও। এরই মাঝে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর বন্ধুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরেই বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বন্ধুর হাতে নিজের স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী। নিজের হাতে দু’জনের বিয়েও দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার সতিপীঠ নন্দিকেশরী মন্দির প্রাঙ্গণে। ওই মন্দিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় এই বিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপি মণ্ডলের সঙ্গে নয় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তারাপীঠের পঞ্চমী মণ্ডলের। তাঁদের একটি সাত বছরের সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়তে থাকে। সেই কারণেই পঞ্চমী আদালতে র বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং বাপের বাড়িতেই ফিরে যান। সন্তান থাকত স্বামীর সঙ্গেই।

জানা গিয়েছে, সেই সময়ই পঞ্চমীর সঙ্গে পরিচয় হয় বাপির বন্ধু, সাঁইথিয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জিৎ কুমার মির্ধার। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পঞ্চমী ও জিতের মধ্যে। পরকীয়ার কথা জানাজানি হতেই অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে পঞ্চমীর স্বামী বাপি বিষয়টি মেনে নেন।
অবশেষে সোমবার সকালে বাপি নিজেই পঞ্চমীকে বন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে নন্দিকেশরী মন্দিরে তাঁদের বিয়ে দেন। বাপি জানিয়েছেন, পঞ্চমী তাঁর নামে করা মামলা তুলে নেবেন এবং তাঁদের সন্তান থাকবে তাঁর কাছেই। পঞ্চমী স্বামীর সঙ্গে আর একসঙ্গে থাকতে না চাওয়ায় এই সিদ্ধান্তে তিনি রাজি হন।
বাপির বলেন, ‘‘আমার বন্ধু আমার বৌকে ভালবাসে। ওদের সাত-আট বছরের সম্পর্ক। ও দিকে, আমার বৌ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। বাপের বাড়ি গিয়ে থাকত। বন্ধুর সঙ্গে বৌয়ের সম্পর্কের কথা বলায় শ্বশুর-শাশুড়ি বলছেন, মেয়ে যা ভাল বোঝে, তা-ই করবে। তাঁদের কোনও দায়িত্ব নেই।’’
