আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরসন্ধ্যায় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খড়দহ। খড়দহের বন্দিপুরের ঠাকুর কলোনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাড়িতে মজুত করে রাখা বারুদেই এই বিপত্তি। ঠিক সন্ধ্যার পরপরই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কেঁপে ওঠে বন্দিপুরের ঠাকুর কলোনি। এলাকায় তৎক্ষণাৎ ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও উদ্বেগ। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে কেউ বুঝতে পারেননি ঠিক কী ঘটেছে। হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠায় অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু দ্রুতই জানা যায়, ঘটনাস্থলে থাকা বাড়িটির ভিতরেই মজুত ছিল বিপুল পরিমাণ বারুদ। আর সেখান থেকেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে হঠাৎ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাড়িতে মজুত রাখা বারুদ থেকেই বিস্ফোরণ। কিন্তু কেন আবাসিক এলাকায় বারুদ রাখা হল, কোথা থেকেই বা এই বারুদ এসেছে তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমন বিপজ্জনক সামগ্রী বাড়ির ভিতরে মজুতের পিছনে কী অন্য কোনও উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। কেউ দাবি করছেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই কিছু সন্দেহজনক কাজকর্ম চলছিল। তবে এর সঙ্গে কি কোনও বড় ধরণের চক্রান্ত যুক্ত আছে কিনা, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। কিছু বাড়িতে দেওয়ালের প্লাস্টারও খসে যায়। যদিও বড়সড় হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে যাতায়াত করত কিছু বাইরের লোক। রাতের বেলাতেও চলত অস্পষ্ট কাজকর্ম। খড়দহের এই বিস্ফোরণ যে শুধু চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তা'ই নয়, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় কোথা থেকে এই বিস্ফোরণের বারুদ এসেছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার পুঙ্খনুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।
