আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াই কি কাল হল পাঁচ বন্ধুর জন্য? সকলেই ভেবেছিল পাহাড়ে এক মনোরম পরিবেশ ঘুরে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। তবে বাড়ি ফেরা আর হল না পাঁচ বন্ধুর মধ্যে দুই বন্ধুর। কার্শিয়াংয়ের পাঙ্খাবাড়ি এলাকায় খাদে পড়ল তাঁদের চারচাকা গাড়ি। 

এই ঘটনায় মৃত ২ এবং আহত আরও তিনজন যুবক। মৃতদের নাম সুমিত সিংহ ও রাজেশ পাসোয়ান। নকশালবাড়ি ফুটানি মোড়ের বাসিন্দা সুমিত এবং কোটিয়া জোতের বাসিন্দা রাজেশ। আহত তিনজনের নাম রাজ দাস, তারক বিশ্বাস ও করণ ঠাকুর।

তিনজনেই নকশালবাড়ির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে একটি চার চাকার গাড়িতে করে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই পাঁচজন বন্ধু। এরপর শনিবার ভোরে পাহাড় থেকে ফেরার পথে কার্শিয়াং পাঙ্খাবাড়ির রাস্তায় খাদে পড়ে যায় তাঁদের গাড়িটি। 

এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের এবং গুরুতর আহত হয় তাঁদের সঙ্গী আরও তিনজন। খবর পৌঁছয় কার্শিয়াং থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কার্শিয়াং থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ও আহত তিনজনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, আহত তিনজনের চিকিৎসা চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে কার্শিয়াং থানার পুলিশ। অপরদিকে এই ঘটনার পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা নকশালবাড়ি জুড়ে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি টানা বর্ষণের কারণে দার্জিলিং জেলার একাধিক জায়গায় ধস নামে এবং ধসের জন্য বিভিন্ন এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নির্দেশ দেন জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতের। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে পরিস্থিতি।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সমস্ত রাস্তা খোলা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা পর্যটকদের কাছে আবেদন করেন পাহাড়ে আসার আগে পর্যটকরা যেন অবশ্যই কোথাও কোনো রাস্তা বন্ধ রয়েছে কিনা সেই সমস্ত খোঁজ নিয়ে আসেন। 

নতুন করে কোনও বৃষ্টি না থাকায় স্বাভাবিক ছন্দ ফিরতে শুরু করে পাহাড়। এই মুহূর্তে দার্জিলিং-এর বিভিন্ন এলাকা পর্যটক ঠাসা। আর তার মধ্যেই পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায় চারচাকা গাড়ি।

প্রশাসন সূত্রে খবর যে সমস্ত পর্যটক এই মুহূর্তে পাহাড়ে আসছেন তাদের প্রায় প্রতিটি মুহূর্তের খবর রাখা হচ্ছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশেষ নজরদারিও চালানো হচ্ছে।