মিল্টন সেন: ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় আগমন। হুগলির চণ্ডীতলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আট দুষ্কৃতি। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা কার্তুজ, বাইক ও গাড়িও। 

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) খবর পায় চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত জনাই চিকরন্ড এলাকায় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপরেই চন্ডীতলা থানার পুলিশ ও এসটিএফ ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। বহিরাগতদের আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। একইসঙ্গে চলে তল্লাশি। পুলিশ তাঁদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি পিস্তল, পনেরো রাউন্ড কার্তুজ, ভোজালি কয়েকটি গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার করে। 

মঙ্গলবার হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে বহিরাজ্যের দুষ্কৃতীরা জড়ে হয়েছিল। ধৃতদের নাম সাজ্জাদ আলম (২৮), বিক্কি গৌর ঠাকুর (২৮), সাহিদ আলী (৩৬), সাগর প্রসাদ(৩৬), এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ঝাড়খন্ডে। এছাড়া পুরুলিয়ার বাসিন্দা সনাতন গড়াই (৩৩), কাজল বাউরি (৩৭), আলম আনসারী (৪০), রাজু চৌধুরী,(৪০)।  ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পনেরো রাউন্ড কার্তুজ দুটি সেভেন এমএম পিস্তল একটি পাইপ গান একটি ম্যাগাজিন একটি বোলেরো গাড়ি একটি মোটরসাইকেল, দুটি ঝাড়খন্ডের নম্বর প্লেট, ভোজালি, লোহার রড তালা ভাঙ্গার যন্ত্র। এরা প্রত্যেকেই একটি জায়গায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। 

তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতীরা মূলত ঝাড়খন্ড ও বাংলার সীমান্ত এলাকাতেই অপরাধ করে। অপরাধকে আটকানোর লক্ষে পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি করা হয়ে থাকে। বোলেরো গাড়ি করে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। এবং যে মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করছিল সেই মোটরসাইকেলের নম্বরও বদল করা হয়েছিল। এস টি এফ ও পুলিশ যৌথ তল্লাশি চালিয়ে এই দুষ্কৃতীদের ধরা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজত নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগে কোথায় কি কি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল তা-ও খতিয়ে করে দেখা হবে।