১৫ জুন পালিত হয় পিতৃদিবস। সময় বদলেছে, কিন্তু বাবাদের ভালবাসা বদলায়নি। যুগের সঙ্গে বদলেছে অভিভাবকত্বের ধরন, কিন্তু মেয়েদের আত্মবিশ্বাস, ভালবাসা ও স্বাধীনতার স্বাদ দেওয়ার চেষ্টায় কোনও ঘাটতি রাখেননি এক ঝাঁক সিনেমার অনবদ্য পিতৃচরিত্র। এবারের ফাদার্স ডে-তে ফিরে দেখা যাক সেই পর্দার বাবাদের যাঁরা বদলে দিয়েছিলেন মেয়েদের জীবন, এবং এক অনন্য নজির হয়ে রয়ে গেছেন দর্শকের মনে।
2
6
পঙ্কজ ত্রিপাঠী (বরেলি কী বরফি): ‘বরেলি কী বরফি’ ছবিতে দেখা যায় ছোট শহরের মেয়ে বিট্টি, যার চরিত্রে কৃতী স্যানন, সে সাহসের আরেক নাম। একা একা ট্রিপে বেরিয়ে পড়া, খোলামেলা কথা বলা — সমাজের চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখানোই তার ইউএসপি। কিন্তু এমন বিট্টি তৈরি হল কীভাবে? তার পেছনে একমাত্র মানুষ, বাবা নারোত্তম মিশ্র (পঙ্কজ ত্রিপাঠী)। বাবা মেয়ের পছন্দকে সম্মান করেছেন, তাকে নিজের মতো বাঁচতে শিখিয়েছেন — এবং তাতেই বিট্টি হয়ে উঠেছে 'বরেলি কী বরফি'।
3
6
অমিতাভ বচ্চন (পিকু): ‘পিকু’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন যে ভূমিকায় ছিলেন, তাকে এক কথায় বলা চলে ‘চিরস্মরণীয়’। প্রথমে একটু খিটখিটে লাগলেও, শেষ দৃশ্যে এসে চোখ ভিজিয়ে দেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র মেয়ে পিকুকে (দীপিকা পাড়ুকোন) তিনি এমনভাবে গড়ে তুলেছেন, যে সে জীবনের সব চ্যালেঞ্জ নিজে হাতে নিতে পারে। পিকু যেমন বাবাকে দেখে রেখেছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, তেমনই বাবার ছায়াতেই সে হয়ে উঠেছে এক শক্তিশালী নারী।
4
6
জ্যাকি শ্রফ (ইয়াদেঁ): ২০০০ সালের শুরুতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইয়াদেঁ’ সিনেমায় রাজপুরী সিংহ (জ্যাকি শ্রফ) এক ‘সিঙ্গল ফাদার’ যিনি তিন মেয়েকে বড় করেছেন একা হাতে। বিশেষ করে ছোট মেয়ে ঈশার (করিনা কাপুর) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অটুট। মেয়ের যে মনের জোর, তা এসেছে বাবার জীবনসংগ্রাম দেখে। বাবার এই 'ফাদার ফার্স্ট' মনোভাবই ঈশাকে বানিয়েছে সমাজে এক ‘গ্রিন ফ্ল্যাগ’ নারীতে।
5
6
অনুপম খের (হম আপকে হ্যায় কৌন): অনুপম খের বহু ছবিতে দুর্দান্ত বাবার চরিত্র করেছেন, কিন্তু ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’-এ তাঁর চরিত্র প্রফেসর চৌধুরী একটু যেন আড়ালে থেকে গেছেন। দুই মেয়েকে (নিশা ও পূজা) যেভাবে তিনি বড় করেছেন, বিশেষ করে ছবির শেষ দৃশ্যে মেয়ের সিদ্ধান্তে বাবার মুখে যেভাবে আলোর রেখা ফুটে ওঠে—তাই বলে দেয়, তিনি শুধু বাবা নন, একজন প্রকৃত বন্ধু।
6
6
উৎপল দত্ত (গোলমাল): ‘গোলমাল’ ছবির নাম বলতেই হাসির সিনেমা চোখে ভেসে ওঠে। কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই বাবার নিঃশর্ত ভালোবাসার যে আবহ—তা ভুলে গেলে চলবে না। উৎপল দত্তের চরিত্রটি মেয়ের জন্য কোনও সামাজিক মানদণ্ড মানে না, আর মেয়েও বাবার মতোই সোজাসাপটা। হাস্যরসের মোড়কে এই বাবা-মেয়ে জুটি দেখিয়ে দেয়, একসঙ্গে থাকলে সমাজের মুখোমুখিও হওয়া যায় দাপটের সঙ্গে।