আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের প্রশিক্ষণ। এর ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া চলবে। আর ৪ নভেম্বর থেকেই এক মাস এসআইআর ক্যাম্প চালাবে তৃণমূল। শুক্রবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী। পাশাপাশি, বুথ ভিত্তিক এজেন্ট (বিএলএ)-দের তাঁর নির্দেশ, এনুমারেশন ফর্মের কাজ করার সময় এক মিনিটও বিএলও-দের একা ছাড়া যাবে না। সব সময় ছায়ার মতো তাঁদের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে।
এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় কী কী করণীয় তার রূপরেখা তৈরি করে দিতে বৃহস্পতিবার দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে অভিষেক রাজ্য জুড়ে ৬২০০টি ক্যাম্প চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ধাপে ধাপে ক্যাম্পগুলি চালানো হবে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে হেল্পডেস্ক চালু করছে তৃণমূল। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৬২০০ হেল্পডেস্ক কাজ করবে। এসআইআর সংক্রান্ত জনতার সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে এসব হেল্প ডেস্ক। এর পাশাপাশি অভিষেক দলের সব কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই ছয় মাস আমাদের অ্যাসিড টেস্ট। এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে সকল ভোটারের নাম তুলতে হবে। কারও নাম যেন বাদ না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।” বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের উদ্দেশ্যে তাঁর নির্দেশ, এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে হবে। এক মিনিটও তাঁদের একা ছাড়বেন না। কোনও বিএলও যেন অনৈতিক কাজ না করতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব বিএলএ-দের।
আরও পড়ুন: নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের
দলীয় সূত্রে খবর, দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের ওয়ার রুম তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। ২৯৪টি বিধানসভার প্রতিটিতে একটি করে ওয়ার রুম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার রুমে ১৫ জন করে থাকবেন। অভিষেক বলেন, “বিজেপি এসআইআর, এনআরসি করে বাংলা ভাগ করতে চায়। মানুষ যেন বুঝতে পারেন একমাত্র তৃণমূলই তাঁদের পাশে আছে।”
উত্তরের জেলাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কোচবিহারে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে, হার্ড কপির সঙ্গে নাম মেলাতে হবে”। আলিপুরদুয়ারে নেতৃত্বের জন্য তাঁর নির্দেশ, “চা বাগানে বসে থাকলে হবে না। মানুষের জন্য লড়তে হবে।” মালদহের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ, “মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের আসতে বলতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বনগাঁ, রানাঘাটের মানুষের পাশে থাকতে হবে। ঠিক যেমন অসমে আমরা লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে বাদ পড়ে যেতে দেখেছি। ঠিক তেমনই বাংলায় এসআইএর-এর কারণে অনেক মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হবেন।”
